টানা বৃষ্টিতে ফের জলমগ্ন হল কলকাতা। মঙ্গলবার ভোর থেকেই প্রবল বর্ষণে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমের বিস্তীর্ণ এলাকা হাঁটুসমান জলে ডুবে যায়। ব্যস্ততম রাস্তা, বাজার, এমনকি হাসপাতালের সামনেও জমে যায় জল। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা পরিস্থিতির ওপর সরাসরি নজর রাখছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শ্যামবাজার, ঠনঠনিয়া, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, টালিগঞ্জ, কালীঘাট, চেতলা, বেহালা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেলঘরিয়া, ট্যাংরা— শহরের প্রায় প্রতিটি অংশেই রাস্তাঘাটে জল জমে যায়। অনেক জায়গায় ছোট গাড়ি ও বাইক বিকল হয়ে পড়ে। অফিস টাইমে বৃষ্টির জেরে হাজার হাজার মানুষকে নাজেহাল হতে হয়। স্কুলপড়ুয়া ও সাধারণ পথচারীরাও চরম সমস্যার মধ্যে পড়েন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম সকালের পর থেকেই জরুরি কন্ট্রোল রুম থেকে খবর নিচ্ছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড অফিসার ও বোরো চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। মেয়রের বক্তব্য— “কলকাতার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে। তাই বৃষ্টি থামলেই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সব জল নেমে যাবে। পুরসভার একাধিক পাম্পিং স্টেশন এখন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। মানুষকে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।”
কাসিপুর, আলিপুর, পালবাজার, ধাপা-সহ শহরের ২০টির বেশি পাম্পিং স্টেশন থেকে জল নিষ্কাশনের কাজ চলছে।
প্রায় ২০০-রও বেশি কর্মী বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
নর্দমা ও খাল পরিষ্কারের কাজ দ্রুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
জল জমে থাকা এলাকায় টহল দিচ্ছে পুরসভার বিশেষ দল।
তবে আপাতত নাগরিকদের একটাই চাওয়া— প্রতি বর্ষায় যেন শহর হাঁটু জলে ডোবা অবস্থার পুনরাবৃত্তি না হয়।
