বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্য নির্মিত রাত্রিনিবাস ভবনটি উদ্বোধনের প্রায় চার বছর পরেও এখনো চালু হয়নি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি ভবনটির উদ্বোধন করেছিলেন, কিন্তু তা চলতি সময়ে তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এই ভবনটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বালুরঘাট পুরসভা যৌথভাবে তৈরি করেছিল, যাতে আধুনিক পরিকাঠামো ও তিনতলা বিশিষ্ট ভবনে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭০ জন রোগীর আত্মীয় থাকতে পারবেন। ভবনটির নিচতলায় ক্যান্টিনের মাধ্যমে খাবারের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা ছিল।
তবে উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত ভবনটির গেটে তালা লাগানো রয়েছে, ফলে রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালের আশেপাশে গাছের তলায় বা টিনের ছাউনির নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বালুরঘাট পুরসভা বিভিন্ন সময়ে রাত্রিনিবাসটি চালু করার আশ্বাস দিয়েছে, তবে বাস্তবে তা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।
অনির্বাণ বাগচী, একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “এই পরিকাঠামো থাকলেও কেন চালু করা হচ্ছে না, এটা আমাদের কাছে একেবারে অসুবিধাজনক। রোগীর আত্মীয়রা যদি সঠিক জায়গায় থাকতে না পারে, তাহলে এই হাসপাতালের আধুনিকতা কী কাজে আসবে?”
জিষনু নিয়গী, একজন আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “রাত্রিনিবাসের জন্য একটা আধুনিক ভবন থাকলেও চালু না হওয়াটা সত্যিই হতাশাজনক। রোগীদের সহায়তার জন্য যে সুবিধা ছিল, সেটি ঠিক মতো কাজে আসছে না।”
অন্যদিকে অশোক মিত্র, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, “রাত্রিনিবাসটি শীঘ্রই চালু হবে। এখানে রোগীর আত্মীয়রা সঠিকভাবে রাত কাটাতে পারবেন ও ক্যান্টিন থেকেও নির্ধারিত দামে খাবার পাবেন। তবে, এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।”
এই দীর্ঘ বিলম্বের কারণে রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা দেখা দিয়েছে, কারণ আধুনিক পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও রাত্রিনিবাসটি চালু করা হচ্ছে না।