পাঁশকুড়া হাসপাতালে দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে ম্যানেজার পলাতক

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার জাহির আব্বাস খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় ওই দুই কর্মী ও অভিযুক্তকে নিয়োগকারী বেসরকারি সংস্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই সংস্থাকে শোকজ করেছেন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব চেয়েছেন।

অভিযোগ, গত ১৪ তারিখ জাহির আব্বাস খান এক স্বাস্থ্যকর্মীকে কাজের ছুতোয় ডেকে নিয়ে যান। এরপর কাজ থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে হাসপাতালের ভেতরেই তাকে ধর্ষণ করেন। কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ও দেখানো হয়। সোমবার ঘটনাটি সামনে আসার পর এক নির্যাতিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খানকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার তাকে তমলুক আদালতে তোলা হয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত জাহির আব্বাস খান হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতেন এবং একাধিক মহিলা কর্মী তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও কেন ওই সংস্থা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, ওই প্রভাবশালী যুবককে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভও চলছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য কঠোর পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা চলছে। উন্নতমানের পরিষেবা ও নিরাপত্তার জন্য কর্মী নিয়োগকারী একটি সংস্থাই যদি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।