কলকাতায় বিশ্বমানের চিকিৎসা নিয়ে এলো মণিপাল হসপিটালস

ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মণিপাল হসপিটালস তাদের দীর্ঘদিনের আস্থা ও উৎকর্ষের ঐতিহ্যকে পূর্ব ভারতে পৌঁছে দিয়েছে মণিপাল হসপিটালস কলকাতা-র মাধ্যমে। দেশের বৃহত্তম হাসপাতাল নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে—যেখানে রয়েছে ১৯টি শহরে ৩৮টি হাসপাতাল, ১০,৫০০+ বেড, ৭,২০০+ চিকিৎসক এবং ৬ কোটি জীবনে ছোঁয়া দেওয়ার অভিজ্ঞতা—কলকাতার মণিপাল ইউনিটসমূহ একই চিকিৎসাগত দক্ষতা, সেবা এবং উৎকর্ষ বজায় রেখেছে, যা মণিপাল নামকে সমগ্র দেশে বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে কর্মী প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা প্রোটোকল—সব ক্ষেত্রেই অনুসৃত হচ্ছে সেই আন্তর্জাতিক মানের নিয়মনীতি। একীভূত ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড সিস্টেম রোগীর ইতিহাসকে নেটওয়ার্ক জুড়ে সহজলভ্য করেছে, ফলে রোগীরা যেখানেই চিকিৎসা নিন না কেন, সমন্বিত ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে কলকাতায় ৫টি (ইএম বাইপাস, মুখুন্দপুর, ঢাকুরিয়া, ব্রডওয়ে ও সল্টলেক) এবং শিলিগুড়িতে ২টি—মোট ৭টি হাসপাতাল নিয়ে পূর্ব ভারতে বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে মণিপাল। এখানে রয়েছে ১,২০০ বেড, ৪৫০+ আইসিইউ বেড, ৪০টি ওপি‌ডি, ৭টি ক্যাথ ল্যাব এবং ১,১০০-রও বেশি চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালগুলি পূর্ব ভারতে বহু মাইলফলক স্থাপন করেছে—যেমন প্রথমবারের মতো ওয়্যারলেস পেসমেকার ইনজেকটেবল এআই প্রোসিডিউর, মাত্র দুই বছরের মধ্যে ১,০০০+ রোবট-সহায়ক হাঁটু প্রতিস্থাপন সার্জারি, ৫০টিরও বেশি টেভার (TEVAR) প্রক্রিয়া, এবং উন্নত কার্ডিয়াক হস্তক্ষেপ যেমন TAVI, CSP ইমপ্লান্টেশন ও Bachmann’s Bundle Pacing।

ঢাকুরিয়া মণিপাল হসপিটালের কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট ফিজিশিয়ান ডা. উত্তয়ান চক্রবর্তী বলেন, “নেফ্রোলজি ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট চিকিৎসায় বহু বছর কাজ করার অভিজ্ঞতায় আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উন্নত কিডনি কেয়ার অনেক জীবন পাল্টে দিতে পারে। মণিপালে রয়েছে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে ডায়ালিসিস ম্যানেজমেন্ট এবং জটিল কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি পর্যন্ত সব ধরনের সুবিধা। আমাদের লক্ষ্য হলো রোগীদের সময়মতো, বিশেষায়িত ও সহানুভূতিশীল চিকিৎসা দেওয়া—যাতে তারা বিশ্বমানের নেফ্রোলজি কেয়ারের জন্য আর দূরে যেতে না হয়।” গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিতে দক্ষতার কথা উল্লেখ করে ঢাকুরিয়া মণিপালের কনসালট্যান্ট ডা. দেবোত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিতে সঠিক রোগ নির্ণয় ও পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার মূল চাবিকাঠি। আমাদের আধুনিক এন্ডোস্কোপি ল্যাব, উন্নত চিকিৎসা প্রোটোকল এবং টিমওয়ার্ক আমাদেরকে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থাপনায় সক্ষম করেছে। আমাদের জোর থাকে প্রাথমিক রোগনির্ণয়, স্বল্প আক্রমণাত্মক চিকিৎসা এবং সহমর্মী যত্নের ওপর—যার ফলে রোগীরা পান উন্নততর ফলাফল এবং জীবনের মানোন্নয়ন।”