মণিপাল হসপিটালস-এ জটিল কনুই আঘাতের চিকিৎসায় বিশেষ সাফল্য অর্জন

ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী মণিপাল হসপিটালস শিলিগুড়ি-র চিকিৎসক দল এক বিরল ও অত্যন্ত জটিল কনুই আঘাতের সফল চিকিৎসা সম্পন্ন করেছেন। এই সাফল্য উত্তরবঙ্গের অর্থোপেডিক চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। আধুনিক সার্জিক্যাল দক্ষতা ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধার সমন্বয়ে এখন স্থানীয়ভাবেই এই ধরনের জটিল চিকিৎসা সম্ভব, ফলে রোগীদের আর মেট্রো শহরে যেতে হচ্ছে না। ধূপগুড়ির বাসিন্দা রমেশ ঘোষ এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার ডান কনুইতে গুরুতর আঘাত পান। চিকিৎসা পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর রেডিয়াল হেড ফ্র্যাকচার, করোনয়েড প্রসেস ফ্র্যাকচার এবং কনুই স্থানচ্যুতি ঘটেছে — যা একসঙ্গে ঘটলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে ‘টেরিবল ট্রায়াড ইনজুরি’ বলা হয়। এই ধরণের আঘাত চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠিন, কারণ এটি কনুই সংযোগস্থলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশকে প্রভাবিত করে এবং সময়মতো ও নিখুঁতভাবে চিকিৎসা না হলে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা, শক্তভাব বা নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।

ড. পঙ্কজ কুমার, কনসালট্যান্ট – অর্থোপেডিকস, মণিপাল হসপিটালস শিলিগুড়ি, এই জটিল অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেন। চিকিৎসক দলটি কনুইয়ের অ্যালাইনমেন্ট ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নিখুঁত পুনর্গঠনমূলক সার্জারি সম্পন্ন করে। সুপরিকল্পিত সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া, নির্ভুল স্থিতিকরণ ও ধাপে ধাপে পুনর্বাসনের মাধ্যমে রোগী অত্যন্ত দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। বর্তমানে মি. ঘোষ সম্পূর্ণ স্বাভাবিকভাবে নিজের দৈনন্দিন কাজ করছেন, কোনো ব্যথা বা জটিলতা ছাড়াই।

নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রমেশ ঘোষ বলেন, “দুর্ঘটনার পর মনে হয়েছিল হয়তো আর কখনও কনুই নাড়াতে পারব না। কিন্তু ড. পঙ্কজ কুমার ও মণিপাল হসপিটালস-এর পুরো টিমের অসাধারণ চিকিৎসা, যত্ন এবং সহায়তার ফলে আজ আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমি এখন ব্যথামুক্তভাবে দৈনন্দিন কাজ করতে পারছি — এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব তাঁদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার।”