কয়েক কেজি সোনার অলংকারে সজ্জিত দেবী মূর্তি। ভক্তদের দেওয়া দানে অলংকারে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে দেবী। সংসারের মঙ্গল কামনা এবং বিভিন্ন কারণ নিয়ে দেবীর শরণাপন্ন হন ভক্তবৃন্দরা। নদীয়ার কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী দেবী বুড়িমার নাম ছড়িয়ে রয়েছে জগৎ জুড়ে। দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলেই পরিচিত প্রত্যেকের কাছে। প্রত্যেক বছর মন্দির প্রাঙ্গণে দেবীর আরাধনায় ছুটে আসে লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দরা, যা এ বছরও নজর করা ভিড় ভক্তদের। ভিড় সামাল দিতে কমিটির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ, এছাড়াও সুব্যবস্থাও করা হয়েছে ভক্তদের জন্য।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেবীর কাছে পুজো অর্পণ করার জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায় ভক্তদের। জানা গেছে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেছিলেন, এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে জগৎজুড়ে। চন্দননগরে আলোক শয্যায় খ্যাতি রয়েছে এই জগদ্ধাত্রী পুজোয়, কিন্তু সাবেকী আনার ছোঁয়া রয়েছে নদীয়াতে, কারণ নদীয়ার শান্তিপুর থেকেই শুরু হয়েছিল জগধাত্রী পুজোর সূচনা, এরপর রাজ বাড়িতে দেবী মূর্তি স্থাপন করে পুজো শুরু করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, তাই ঐতিহ্যের ছোঁয়া রয়েছে নদীয়ার জগদ্ধাত্রী পূজোয়, যার মধ্যে অন্যতম দেবী জগদ্ধাত্রী বুড়িমা।
চাষাপাড়া বারোয়ারির প্রায় ২৫৩ বছরের এই পুজোর ঐতিহ্য এখনো নজির বিহীন ভাবে চলে আসছে। যত দিন যাচ্ছে ততই খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশজুড়ে। আগামীকাল বুড়িমার শোভাযাত্রা, এখন থেকেই রয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। জগদ্ধাত্রী পুজো উৎসবকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় রয়েছে নো এন্ট্রি, আর প্রত্যেকটি পুজো মন্ডপে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। একপ্রকার বলা যেতেই পারে জগদ্ধাত্রী পূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে জমজমাট নদীয়ার শান্তিপুর সহ কৃষ্ণনগর শহর সহ আনাচে –কানাচে।
