ভারতের অন্যতম শীর্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মণিপাল হসপিটালস নেটওয়ার্ক–এর অংশ মণিপাল হসপিটাল, রাঙ্গাপানি গর্বের সঙ্গে শেয়ার করলো এক অনন্য সাফল্যের কাহিনি। মিরিক, দার্জিলিং-এর ৯০ বছর বয়সি এক মহিলা (নাম পরিবর্তিত – লিনা গুরুং), ডাঃ সৌরভ গুহ, কনসালট্যান্ট – রেডিয়েশন অনকোলজি, মণিপাল হসপিটাল রাঙ্গাপানির তত্ত্বাবধানে সারভিক্স ক্যান্সারের স্টেজ আই বি–কে জয় করেছেন। এই সাফল্য প্রমাণ করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা, রোগীর মানসিক দৃঢ়তা ও আধুনিক ক্যান্সার কেয়ারের কার্যকারিতা। ২০২২ সালে, লিনা গুরুং অস্বাভাবিক জরায়ুর রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসা পরীক্ষায় MRI রিপোর্টে জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ে।
বয়সজনিত কারণে কেমোথেরাপি না দিয়ে তাঁকে দেওয়া হয় ২৫ সেশন র্যাডিক্যাল রেডিয়োথেরাপি ও ২ সেশন ইন্ট্রাক্যাভিটারি ব্র্যাকিথেরাপি। চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। পরবর্তী MRI ও CT স্ক্যানে দেখা যায়, ক্যান্সারের কোনো প্রমাণ আর নেই।গত তিন বছর ধরে নিয়মিত ফলো-আপের মধ্যে আছেন তিনি, এবং এখন সম্পূর্ণ ক্যান্সার-মুক্ত। তাঁর এই যাত্রা সমগ্র উত্তরবঙ্গ, দার্জিলিং, সিকিম ও নেপালের বহু পরিবারের জন্য নতুন আশার বার্তা।
এই বিষয়ে ডাঃ সৌরভ গুহ বলেন, “মিসেস গুরুং -এর সাফল্য প্রমাণ করে বয়স ক্যান্সারের চিকিৎসার কোনো বাধা নয়। সঠিক পরিকল্পনা, নিখুঁত রেডিয়োথেরাপি ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রবীণ রোগীরাও উৎকৃষ্ট ফল পেতে পারেন। মণিপাল হসপিটাল রাঙ্গাপানি শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সিকিম, দার্জিলিং, উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও নেপাল থেকেও রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে গর্বিত।” অন্যদিকে, রোগীর জামাতা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমার শাশুড়ির ৯০ বছর বয়সে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর আমরা ভীষণ চিন্তিত ছিলাম। চিকিৎসা সহ্য করতে পারবেন কিনা, সেই ভয় ছিল। কিন্তু মণিপাল হসপিটালের সঠিক গাইডেন্স ও ফলো-আপের ফলে আজ তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ, আনন্দে বাড়িতে আছেন। আমি নিজে দেখেছি, উত্তরবঙ্গ, সিকিম ও নেপাল থেকে বহু মানুষ এখানে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে আসেন, এবং পরিষেবার মান অসাধারণ। আমরা আন্তরিকভাবে ডাঃ গুহ ও তাঁর টিমকে ধন্যবাদ জানাই।” মিসেস গুরুং –এর এই গল্প এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়— ক্যান্সার যে কোনো বয়সে হতে পারে, কিন্তু সময়মতো সনাক্ত করা গেলে সারভিক্স ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তাঁর সাফল্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নিয়মিত স্ক্রিনিং, আধুনিক চিকিৎসা ও পরিবারের অবিচল সমর্থন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা জরুরি।
