ভোজ্য তেল নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভ্রান্তি এবং অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্যের প্রেক্ষিতে, মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল (এমপিওসি) একটি নতুন ছয়-পর্বের পডকাস্ট সিরিজ চালু করেছে, যার লক্ষ্য হলো ভারতীয় পরিবারগুলোকে বিজ্ঞানসম্মত ও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা। এই সিরিজটি এমপিওসির আগের ডিজিটাল উদ্যোগগুলোর ধারাবাহিকতা, যা মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের পুষ্টিগুণ, বিজ্ঞান এবং স্থায়িত্বের বিষয়গুলোকে সহজভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ভোক্তার কাছে পৌঁছেছে।
এই সিরিজের প্রথম দুটি পডকাস্ট পর্বে অতিথি হিসেবে রয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর লীমা মহাজন। এই পডকাস্টটিতে রান্নাঘরের প্রাসঙ্গিক আলোচনার সাথে স্বাস্থ্য, খাদ্যতালিকাগত ফ্যাট, স্থায়িত্ব এবং বিভ্রান্তিকর মার্কেটিং লেবেল সম্পর্কে প্রমাণভিত্তিক তথ্যের এক চমৎকার মিশ্রণ করা হয়েছে। প্রতিটি পর্বে বহুল প্রচলিত ভুল ধারণাগুলোকে খণ্ডন করা হয়েছে এবং প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহারের জন্য শ্রোতাদের স্পষ্ট ও ব্যবহারিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্বে, ‘কোন তেলটি আসলে স্বাস্থ্যকর?’‘ লীমা এই বড় প্রশ্নটির সহজভবে ব্যাখা করেন, তিনি কোনো একটি নির্দিষ্ট তেলকে পুরোপুরি বাদ না দিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং রান্নায় বুদ্ধিদীপ্ত অভ্যাসের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সংক্ষেপে পাম অয়েলের বিজ্ঞানসম্মত উপকারিতা এবং বাড়িতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন তেল ব্যবহারের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন। পরবর্তী পর্বে, তিনি বর্তমানে বাড়তে থাকা “নো পাম অয়েল” লেবেলের বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেন এবং ব্যাখ্যা করেন কেন এগুলো প্রায়শই ভীতি সৃষ্টিকারী এবং বিভ্রান্তিকর হয়ে থাকে। তিনি দর্শকদের প্যাকেটের সামনের অংশের দাবির বাইরে গিয়ে একটি পণ্য আসলে কিসে স্বাস্থ্যকর হয়, তা বোঝার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সিরিজটি সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্যের সমন্বয়ে তৈরি, যা দেখায় যে পাম অয়েল টোকোট্রাইনল এবং ক্যারোটিনয়েডে (লাল পাম অয়েলে পাওয়া যায়) সমৃদ্ধ, এই যৌগগুলো তাদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি এবং সম্ভাব্য কার্ডিওমেটাবলিক উপকারিতার জন্য স্বীকৃত। পাম অয়েল প্রাকৃতিকভাবেই কোলেস্টেরল মুক্ত, কারণ কোলেস্টেরল শুধুমাত্র প্রাণিজ ফ্যাটেই পাওয়া যায়। সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হলে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার ক্ষেত্রে পাম অয়েলের নিরপেক্ষ প্রভাব থাকে।
