জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষা পর্ব শেষ হলেই আসে কলেজ ভর্তির সময়। তবে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের জন্য হাহাকার। প্রায় এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতা কলেজ গুলিতে। কলকাতার কলেজ গুলিতে স্নাতকস্তরের আসন ফাঁকা রয়েছে ৫০-৬০%।
আর এই আসন পূরণের দায়িত্ব এবার সরাসরি কর্তৃপক্ষ তুলে দিলো উচ্চ শিক্ষা দফতরের হাতে। কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে প্রথম দুই দফার ভর্তির পর যে আসন গুলি খালি রয়েছে সেগুলিতে ভর্তি করানো হবে ডিসেন্ট্রালাইডের প্রক্রিয়া।
ইতিমধ্যে আশুতোষ কলেজ সহ শহরের একাধিক কলেজ নিজেদের ওয়েবসাইটে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আশুতোষ কলেজে মোট ৩৩৩০ প্লিজ নাটক আসনের মধ্যে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় হয়েছে ১৪০০ জন।
ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয় শিক্ষকমহলের একাংশ দাবি করেছেন, যে সমস্ত কোর্সে পড়াশোনা করার পর সহজে চাকরি পাওয়া যায়, সেখানেই আগ্রহ বেশি পড়ুয়াদের। যেমন ইংরেজি, মাইক্রোবায়োলজি, ভূগোল, বাণিজ্য ইত্যাদি। গত কয়েক বছরে বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি বা পদার্থবিদ্যা, রসায়নের মতো বিষয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন পড়ুয়ারা।
