ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি দেওয়া বহু পরিযায়ী শ্রমিক এবার ফিরছেন নিজেদের মাটিতে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের লকমা গ্রামে এক নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখাচ্ছেন খাদিমপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সমীর কুমার সরকার। তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয়েছে এক নীরব সামাজিক বিপ্লব—পেয়ারা চাষ।
২০২২ সালে নিজের জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে পেয়ারা চাষ শুরু করেন সমীরবাবু। প্রথম বছরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ইতিমধ্যে আটজন ভিনরাজ্যফেরত শ্রমিক এই চাষে যুক্ত হয়েছেন। নির্মাণসাইট ও হোটেলে পরিশ্রম করে কষ্টের জীবন কাটানোর বদলে এখন তাঁরা নিজের গ্রামে আত্মসম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন।
সমীরবাবুর উদ্যোগে এই বছর প্রায় ২৮০ কুইন্টাল পেয়ারা উৎপন্ন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ১৬ লক্ষ টাকার বেশি। এই পেয়ারা এখন রপ্তানি হচ্ছে শিলিগুড়ি ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁর কথায়, “এটা শুধু কৃষিকাজ নয়, এটা একটা সামাজিক আন্দোলন।”
এখন লকমা ও চিঙ্গিসপুর গ্রামের চেহারা বদলে যাচ্ছে। ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিক, ফিরছে আত্মমর্যাদা। এই প্রয়াস হয়তো আগামী দিনে আরও অনেককে উদ্বুদ্ধ করবে নিজের মাটিতে ফিরে এসে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটার জন্য।
