পাহাড় এবং সমতলে বৃষ্টি। দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে কালিঝোরা ব্যারেজ এবং জলপাইগুড়ি গজলডোবা ব্যারেজ থেকে। আজ সকালেও ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ প্রায় ৮০০ কিউমেক। উত্তরে দুর্যোগ। শনিবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি অব্যাহত। শীতের আমেজ। গত ৫ই অক্টোবর জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি নাগরাকাটা ধুপগুড়ি বানারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ফের ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। চিন্তায় নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ব্লক প্রশাসনিক তরফ থেকে ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা, রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তারা মানুষজনকে বুঝিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সর্বতোভাবেই সচেতন। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতায় মাইকিং প্রচার শুরু করেছেন। বেশ কয়েকটি স্কুলে বহু মানুষজনকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। জলপাইগুড়ি প্রশাসনের সকল আধিকারিকেরা একদিকে যেমন নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করে এই এই রিলিফ সেল্টার ও কমিউনিটি কিচেন এর ব্যবস্থা করেছে তেমনি রাউন্ডার ক্লক কন্ট্রোল রুম সজাগ আছে জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং পুরসভার আধিকারিক এবং কর্মীরা। সমস্ত ভাবেই পুলিশ ও প্রশাসন পাশে রয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, ধুপগুড়ি জেলা বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক রা এবং বিডিও, এসডিও, আইসি, এসডিপিও সহ বহু মানুষ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
একদিকে ত্রিপল বিতরণ অপরদিকে শুকনো খাবার সহ রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দুস্ত মানুষ মানুষদের পাশে। জলপাইগুড়ি পুরসভা সহ বিভিন্ন পৌরসভা এবং মহকুমা শাসক ও ব্লক প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নাম্বার। জেলা জুড়ে ২৫০ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে খোলা রয়েছে ফ্লাড কন্ট্রোল রুম। জেলা নদী গুলোর বিভিন্ন তথ্য এই কন্ট্রোল রুম থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে।
