কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে প্রাথমিকে চাকরির সুযোগ। প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২২-এর ক্ষেত্রে এর জেরে সুযোগ বাড়ল। NIOS থেকে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সুযোগ বাড়ল। প্রাথমিক নিয়োগ ২০২২ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১১০০০ শূন্যপদে নিয়োগ। সুমন্ত গড়াই, সেখ নাজিমুদ্দিন-সহ ১৫০ মামলাকারীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুযোগ দিল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। নথি যাচাই করে চূড়ান্ত মেধাতালিকায় জায়গা পেলে চাকরি দিতে হবে মামলাকারীদের নির্দেশ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যে’র। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস সামিম।
NIOS বা National Institute of open school। এখান থেকে Dled. 18 মাসের কোর্স। ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন। সুপ্রিম কোর্ট ডিসেম্বর, ২০২৪-এ জানায় প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় NIOS থেকে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবে। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২২-এ নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সেই সুযোগ দেয়নি। হাইকোর্ট শুক্রবার নির্দেশ দিল NIOS থেকে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মামলাকারী ১৫০ জন প্রাথমিক নিয়োগ নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২২ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। ডকুমেন্ট যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত মেধাতালিকায় জায়গা পেলে চাকরি পাবে, নির্দেশ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যে’র।
২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এনআইওএস থেকে ডিএলএড পাশ করা কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। আদলত জানায়, ওই চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সেই মতো গত ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নথি যাচাইয়ের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাঁরা যাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন, তাঁদেরকেই ডেকে পাঠায় পর্ষদ। সেই কারণে ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিচারপতি এদিনের রায়ে উল্লেখ করেন, ‘হাইকোর্টের মামলাকারীরা শীর্ষ আদালতে মামলাকারীদের মতো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্থক্য একটাই, তাঁরা শুধু শীর্ষ আদালতে মামলা করেননি।’