কোন রান্নার তেল স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে ভারতীয় পরিবারগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছেই। সম্প্রতি মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল (MPOC) একটি পডকাস্ট সিরিজ শুরু করেছে। যেখানে তেল সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এতে ভারতীয়রা সহজেই তাদের পছন্দের তেল বেছে নিতে পারবেন বলা আশা করা হচ্ছে। এই সিরিজের একটি পর্বে প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ সাক্ষী লালওয়ানি পাম তেল নির্বাচন, প্যাকেটে থাকা লেবেল পড়া এবং নিরাপদ রান্নার অভ্যাস নিয়ে অনেক তথ্য দিয়েছেন। এই এপিসোডগুলিতে পাম তেল এবং ফ্যাট নিয়ে ভুল ধারণা ভেঙে বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সাক্ষী লালওয়ানি ব্যাখ্যা করেন যে পাম অলিইন প্রাকৃতিকভাবে ট্রান্স-ফ্যাট মুক্ত, উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল এবং এতে ভিটামিন ই টোকোট্রিয়েনলস রয়েছে। লাল পাম তেলে বিটা-ক্যারোটিন (প্রোভিটামিন এ-এর উৎস) থাকে। তিনি বলেন, স্মার্ট রান্নার অভ্যাসই স্বাস্থ্যকর খাবারের মূল চাবিকাঠি। ‘নো পাম অয়েল’ লেবেলগুলিকে তিনি “মার্কেটিং-কেন্দ্রিক” বলে অভিহিত করেন, যা আসল পুষ্টির মূল্য না দেখিয়ে কেবল “স্বাস্থ্যকর” হওয়ার ধারণা তৈরি করে। তিনি পরামর্শ দেন, ক্রেতাদের উচিত প্যাকেটের সামনের লেবেল না দেখে পেছনে থাকা উপাদানের তালিকা পরীক্ষা করা।
এই সিরিজটি তুলে ধরে যে, সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হলে পাম তেলে টোকোট্রিয়েনলস এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। খাদ্য বিজ্ঞান অনুযায়ী, পাম তেল উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীল, জারণ প্রতিরোধী এবং প্রাকৃতিকভাবে ট্রান্স-ফ্যাট মুক্ত। এটি খাবারে কম তেল শোষণ করে, যার ফলে খাবার মচমচে হয়।
সাক্ষী ICMR–NIN ডায়েটারি নির্দেশিকা-২০২৪ সমর্থন করেন। এই পডকাস্ট সিরিজটির লক্ষ্য পাম তেল সম্পর্কিত ভুল তথ্য দূর করে এর বহুমুখী ব্যবহার, পুষ্টি এবং স্থায়িত্বের বিষয়টি তুলে ধরা।
পাম তেল নিয়ে ভুল ধারণা দূর করতে পডকাস্ট সিরিজ
