স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের অংশীদারিভিত্তিক মঞ্চ প্লুরো ফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ আজ ঘোষণা করল যে তারা সিরিজ এ ফান্ডিং হিসাবে বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে ১২৫ কোটি টাকা। এই পর্বে এই টাকা তোলার কাজে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে বেসেমার ভেঞ্চার পার্টনার্স যার মোট মূল্য ১০০০ কোটি টাকা। প্লুরোর লক্ষ্য হল ভারতের সবচেয়ে দক্ষ ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয় মহিলা ও পুরুষের সন্তানের অভিভাবক হওয়ার স্বপ্ন সফল করে তোলা। সেই লক্ষ্য ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ একটা বড় মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে। এই পর্বে মূলধন সংগ্রহে অংশ নিয়েছেন বিশিষ্টজনেরাও। তারা হলেন বিক্রম চাটওয়াল (মেডিঅ্যাসিস্ট), ধর্মিল শেঠ এবং হার্দিক দেধিয়া (ফার্মইজি/অল হোম), সলিল মুসালে (অ্যাসটার্ক ভেঞ্চারস), শালিভদ্র শাহ ও নিকেত শাহ (মোতিলাল ওসওয়াল) এবং করণ কাপুর (কে হসপিটালিটি)।
২০২৫ সালে প্লুরো প্রতিষ্ঠা করেছেন ডক্টর জয়দীপ ট্যাঙ্ক, ডক্টর পরীক্ষিৎ ট্যাঙ্ক এবং ডক্টর ভাস্কর শাহ। সারা ভারতে যারা সফল ও স্বাধীন আইভিএফ বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গে প্লুরো সহযোগিতা গড়ে তুলেছে ক্লিনিক্যাল পার্টনারশিপ মডেলের মাধ্যমে। এই সহযোগিতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ব্যক্তিস্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকে এবং একই সঙ্গে দেওয়া হয় কেন্দ্রীভূত অপারেশনাল সহযোগিতা। এর ফলে ক্লিনিকগুলির পক্ষে রোগীরা কী ফল পাচ্ছেন সেদিকে পুরোপুরি নজর রাখা পক্ষে সম্ভব হয়, আবার তাদের কাজকর্মকে সুস্থায়িত্বের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হয়। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে সারা ভারতে ২৫টি ফার্টিলিটি কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে প্লুরোর। এর প্রতিটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে একজন নামকরা ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় যাদের কমপক্ষে এক দশকের ব্যতিক্রমী ধরনের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা রয়েছে।
ডক্টর জয়দীপ ট্যাঙ্ক, প্লুরো ফার্টিলিটির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, প্রতিষ্ঠাতাদের তরফে বলেন, ‘ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞরা দশকের পর দশক কাটিয়েছেন রোগীদের সঙ্গে বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজে এবং তাঁরা ধারাবাহিক ভাবে ক্লিনিক্যাল সাফল্যের জন্ম দিয়েছেন। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বাধা এবং সীমাবদ্ধ ব্যান্ডউইথের কারণে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোয় বিনিয়োগে করা ও সেগুলির উৎকর্ষ বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের সক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করছে প্লুরো এবং তাদের আরও সক্ষম করে তুলছে। ফলে এই বিশেষজ্ঞরা দম্পতিদের পরিষেবা দিতে পারছেন যাতে তারা সত্যিকারের পার্টনার হয়ে উঠতে পারে পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব অর্জনের যাত্রাপথে। এটা সম্ভব হয় প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা, বিরাট বড় পরিকাঠামো এবং সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে।’ কনসাল্টেশন রুমের বাইরে যা কিছু রয়েছে তাতে সমর্থন থাকছে প্লুরোর — ফলে চিকিৎসাকেরা তাংদের সেরা কাজটা করতে পারেন: সেই কাজটা হল ‘পরিবার সৃষ্টিতে সহায়তা করা।‘
