ফের এটিএম লুটের চেষ্টা। তবে পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় চুরি রুখে দেওয়া সম্ভব হয়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত রানিনগরে বিএসএফ ক্যাম্পের মূল ফটকের নিকটবর্তী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে।
জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে মুম্বইয়ের এসবিআই কন্ট্রোল রুম থেকে জলপাইগুড়ি জেলা কন্ট্রোল রুমে খবর আসে, রানিনগর শাখার একটি এটিএম ভাঙার চেষ্টা চলছে। সঙ্গে সঙ্গে জেলা কন্ট্রোল রুম কোতোয়ালি থানার নাইট মোবাইল অফিসারদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সাথে রাজগঞ্জ ও ময়নাগুড়ি থানাকেও হাইওয়েতে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান এএসআই মুনিরাম রায় ও এএসআই বিশাল ছেত্রী। তাঁরা দেখেন, এটিএমের সামনে রাখা রয়েছে দুটি মোটরবাইক ও একটি ছোট এলপিজি সিলিন্ডার। পুলিশকে দেখে দুই ব্যক্তি পাশের একটি বাড়িতে পালানোর চেষ্টা করে। এএসআই বিশাল ছেত্রী তৎপরতায় একজনকে ধরে ফেলা হয়। জানা যায় ধৃতের নাম কৌশিক মুখার্জি (২৪), চেউড়া পাড়া, রানিনগর বাসিন্দা।
পরবর্তী সময়ে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার নাম পথিক সরকার (২৫), কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ), কোতোয়ালি ও রাজগঞ্জ থানার আইসি-রা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এটিএম মেশিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূল ক্যাশ চেম্বার অক্ষত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৌশিক ও পথিক দীর্ঘদিন ধরেই চুরি ও অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ। ইতিমধ্যেই কোতোয়ালি থানায় এটিএম লুটের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
কার্যত পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় অপরাধ রোধ হল জলপাইগুড়িতে।
