ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান থেকে ৩৪ জন তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তামিলনাড়ু। শিলিগুড়ি থেকে রাঁচি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাসে। তারপর আবার ট্রেনে এবং বাসে তাদের নিয়ে যাওয়া হতো তামিলনাড়ু এমনটাই জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম গৌতম রায়, সে শিলিগুড়ির হায়দারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
অপর ধৃত পেট্রাস বেক ডুয়ার্সের জুরান্টি চা বাগান এলাকার বাসিন্দা এবং অপর ধৃত জয়শ্রী পাল শিলিগুড়ির জনতানগর এলাকার বাসিন্দা। একটি রিজার্ভ বাসে করে বিহারের রাঁচিতে ঐ তরুণীদের নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল ধৃতরা। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হতো তামিলনাড়ুতে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে উদ্ধার হওয়া তরুণীদের, এসপি অ্যাপারেলস লিমিটেড, ৩৯ এ এক্সটেনশন স্ট্রিট, কাইকাট্টিপুদুর, অবিনাশী, তামিলনাড়ুর একটি গার্মেন্টস ওয়ার্কশপে কাজ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
কিন্তু ধৃত তিন এজেন্টদের বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং ওই তরুণীদের কাজের কোন নথি না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং সকল তরুণীকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর প্রত্যেককে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে প্রধাননগর থানায় ধারা ১৩৭(২)/১৪৩(৩)/৬১(২) বিএনএস-এর মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট মামলা শুরু করা হয়েছে, আজ ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতর রিমান্ডে নিয়ে এই ঘটনার তদন্ত চালাবে প্রধান নগর থানার পুলিশ।
