কখনও সিবিআই, ইডি, আবার কখনও বা নারকোটিক বা ভিজিল্যান্স অফিসার সেজে একটি প্রতারক চক্র ডায়মন্ড হারবারে অফিস খুলে টাকা তুলছিল। অবশেষে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ এই বিরাট প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস করে চক্রের মূল পাণ্ডাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে জানান, প্রতারকরা ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ‘সোশ্যাল-লিগ্যাল-ক্রাইম অ্যান্ড ইনফরমেশন’ নামে একটি ভুয়ো সংস্থার অফিস খুলেছিল। এমনকি অফিস উদ্বোধনের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের লোগো লাগানো নীলবাতির গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। তারা নিজেদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলছিল।
পুলিশ জানায়, এই চক্রটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তা ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পদস্থ কর্তাদের ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো শংসাপত্রও ছাপিয়েছিল। বারুইপুর থানা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে ভিজিলেন্স অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ডায়মন্ড হারবার এসডিপিও সাকিব আহমেদ ও থানার আইসি অমরজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মূল পাণ্ডা কলকাতার লেক থানা এলাকার বাসিন্দা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফলতার বাসিন্দা সুজাউদ্দিন শেখ, লেক থানা এলাকার গোপাল বারিক, সন্দীপ বর্মন এবং কুলতলি এলাকার জামাল হালদারকে। পুলিশি হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জেরায় প্রতারকরা জানিয়েছে, তাদের সংস্থার সদর দপ্তর দক্ষিণ দিনাজপুরে। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্র, ব্যাজ এবং বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে।
