নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার অন্তর্গত বগুলা রুরাল হাসপাতালে আজ থেকে চালু হলো পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য মেডিকেল কলেজের মতোই প্রেসক্রিপশন। সাধারণত সরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোতে এই ধরনের সুবিধা দেখা যায়। রুরাল এলাকায় এই ধরনের পরিষেবা সচরাচর চোখে পড়ে না। কি এই প্রেসক্রিপশন ? এই ই প্রেসক্রিপশন হলো ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন যেখানে রোগের বিবরণী এবং ওষুধের বিবরণ সম্পূর্ণ প্রিন্টেড ফরমেটে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সহ ছাপানো থাকে।
এর ফলে রোগী এবং রোগীর পরিজন এরা খুব সহজে বুঝতে পারেন কি ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়েছে এবং রোগীর কি ধরনের উপসর্গ বিদ্যমান। ইতিপূর্বে হাতে লেখা প্রেসক্রিপশনের উপর সাধারণ মানুষের অনেক অভিযোগ এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ডাক্তারদের লেখা প্রেসক্রিপশন সচরাচার সকলেই সহজে পড়তে পারেন না।যার জন্য এক ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অন্য ডাক্তার অথবা অন্য ওষুধের দোকানদারের কাছে দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠে। যার ফলে রোগী ও রোগীর পরিজনের বেশ সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এই ই প্রেসক্রিপশন চালু হওয়ার ফলে রোগীর ভোগান্তির পরিমাণ একেবারেই থাকবে না।
এবং প্রেসক্রিপশন নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকার কারণে সহজেই বোঝা যাবে ও জানা যাবে তার কি সমস্যা হয়েছিল এবং তাকে কি ওষুধ এবং টেস্ট লেখা হয়েছে এবং তার ফলাফল কি। বগুলা হাসপাতাল এলাকা জনবহুল হওয়ার কারণে বর্তমানে প্রতিদিনই আউটডোর প্রায় বিকাল ৪ঃ০০ টা থেকে সাড়ে চারটা অব্দি চালু থাকে। নতুন হাসপাতালের আধিকারিক দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরেই এই নিয়ম চালু করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ সংবাদমাধ্যমকে জানান তারা বিনামূল্যের টেস্ট ওষুধ এবং চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের এহেনো উদ্যোগে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রচন্ড উৎসাহিত এবং উপকৃত।
