শনিবার রাত। দিনভর কাজ শেষে বাড়ি ফেরার তাড়ায় ছিলেন ফুলবাড়ির বাসিন্দা বিশ্বনাথ রায়। ব্যাংকের এটিএম থেকে সদ্য তুলেছিলেন কুড়ি হাজার টাকা। সাইকেলে চেপে শান্তভাবে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু কে জানত সেই ফিরতি পথই জীবনের এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে!
ক্যানেল রোডে পৌঁছনোর পরেই বুঝতে পারেন, কেউ যেন তাকে অনুসরণ করছে। একে একে তিন যুবক সামনে এসে পথ আটকে দাঁড়ায়। কিছু বোঝার আগেই তারা হুমকি দিয়ে বিশ্বনাথের কাছ থেকে কেড়ে নেয় নগদ ২০ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড। রাতের নির্জন রাস্তায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ভয়ে-আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে যান তিনি।
খবর ছড়াতেই ফুলবাড়ি জুড়ে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এলাকায় রাতের বেলা বের হওয়াই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো জরুরি।”
অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ দ্রুত তৎপরতা শুরু করে। বিশেষ সাদা পোশাকের টিম গঠন করে টানা অনুসন্ধান চালায়। অবশেষে রবিবার রাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুই অভিযুক্ত— রবিন রায় ও আমিনুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১৫ হাজার টাকা। তবে এখনও বাকি ৫ হাজার টাকা ও পলাতক তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
সোমবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয় জলপাইগুড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, খুব শিগগিরই পুরো দুষ্কৃতীদলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এই ঘটনার পর থেকেই ফুলবাড়ির সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবি, রাতের রাস্তায় টহলদারি আরও বাড়ানো হোক, যাতে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে।
