এক ব্যক্তিকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendhu Adhikari) সাজানো হয়েছিল। পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। কোমরে পরানো হয়েছিল দড়ি। ওই ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষজন। তবে এটি কোনও নাটক বা যাত্রার দৃশ্য নয়, আজ তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ দিবস কর্মসূচিতে এই ছবি ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার মানিকতলায় মিছিল করে তৃণমূল। এক ব্যক্তিকে শুভেন্দু অধিকারীর মুখোশ, কোমড়ে দড়ি পরিয়ে প্রতীকী মিছিল করা হয়। সারদা-নারদ মামলায় যুক্ত বিজেপি নেতাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন, এই প্রশ্ন তুলে পথে নামে তৃণমূল। মানিকতলা থেকে রাজাবাজার পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী।
‘খেলা হবে দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সবাইকে খেলা হবে দিবসের শুভেচ্ছা। গতবারের বেনজির সাফল্যের পর এ বছর যুব সম্প্রদায়ের আরও বেশি অংশগ্রহণ কামনা করি। এই দিনটিতে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের উদ্যম তুলে ধরুক, যারা উন্নতির সবথেকে বিশ্বস্ত পথপ্রদর্শক৷’ তবে দুর্নীতির অভিযোগে যখন বিদ্ধ রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা, সেই সময় এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মন্ত্রী-নেতারা চুরির দায়ে, গরু পাচারের দায়ে ধরা পড়ছে, তৃণমূল ব্যাকফুটে আছে। তৃণমূলের তরফে হিংসার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, বলেন সুকান্ত।
শুধু তাই নয়, ‘খেলা হবে দিবস’-এই আসল খেলা শুরু হবে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সমান মাঠ পেলে তাঁরাও খেলে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত।তবে তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআই, ইডি-র মতো সংস্থাকে ব্য়বহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। খেলা হবে দিবসেও তাই সিবিআই, ইডি-র নিরপেক্ষতার দাবিতে সরব হয় তারা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তোলে তৃণমূল। তার পর ১৬ অগাস্ট দিনটি প্রতিবছর ‘খেলা হবে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।