স্যামসাংয়ের নতুন লক্ষ্য ‘পাওয়ারিং ইনোভেশন ফর ইন্ডিয়া’

ভারতের বৃহত্তম কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং ভারতে তাদের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক নতুন কৌশলগত উদ্যোগ চালু করেছে। #পাওয়ারিং ইনোভেশন ফর ইন্ডিয়া নামের এই ক্যাম্পেইনের কেন্দ্রে রয়েছে মনুষ্য-কেন্দ্রিক উদ্ভাবন, ভারতীয় প্রতিভা এবং ভারত-নেতৃত্বাধীন পণ্যের বিকাশ। স্যামসাংয়ের এই উদ্যোগটি ভারতের ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ লক্ষ্য এবং উদ্ভাবন-ভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার বানিয়ে তাদের অঙ্গীকারকে দৃঢ় করে। ১৯৯৫ সালে ভারতে প্রবেশের পর থেকে, স্যামসাং বিনোদন থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট (নয়ডা) স্থাপন করেছে।

বর্তমানে ১.১১ লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব নিয়ে স্যামসাং ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র তৈরি করেছে, যেখানে গ্যালাক্সি এআই (স্মার্টফোন), বেসপোক (গৃহস্থালির সরঞ্জাম) এবং ভিশন এআই (টিভি)কে স্মার্টথিংস-এর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। স্যামসাং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সিইও জেবি পার্ক বলেন যে, ভারত উদ্ভাবনে পরবর্তী যুগের নেতৃত্ব দেবে। স্যামসাংয়ের দুটি উৎপাদন কেন্দ্র, তিনটি রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এবং একটি ডিজাইন সেন্টার এখন ভারতীয় সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের প্রযুক্তি তৈরি করছে।

স্যামসাং ভারতের ভবিষ্যৎ উদ্ভাবকদের জন্য বিনিয়োগ করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে এবং ‘স্যামসাং সল্ভ ফর টুমরো’, ‘স্যামসাং ইনোভেশন ক্যাম্পাস’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০-এর উপযোগী কর্মী বাহিনী তৈরি করছে। স্যামসাং ১৯৯৫ সালে ভারতে তাদের যাত্রা শুরু করে। তিন দশকে তারা দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন ও কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তাদের রয়েছে শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) কেন্দ্র, উন্নত উৎপাদন ক্ষমতা এবং লক্ষ লক্ষ বিক্রয়কেন্দ্র (রিটেল টাচপয়েন্ট)। স্যামসাংয়ের এই নতুন কৌশলগত লক্ষ্য ভারতে তাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।