তিস্তার জল ঢুকে গিয়ে জলমগ্ন হয়ে পোকামাকড় ও সাপখোপে ভর্তি হয়ে গিয়েছে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে রাস্তার মধ্যেই পঠনপাঠন চলছে ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তরবাসুসুবা হাবিরুদ্দিন স্মৃতি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। জানা গিয়েছে এখনো চাপাডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ৮টি গ্রামের প্রায় ৪০০০ বাড়ি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তার মধ্যে এই স্কুলের প্রাঙ্গণেও একহাটু জল জমে রয়েছে। এমনকি স্কুলের ভিতরেও জল জমে রয়েছে। তাই ক্লাসরুম গুলোতে রয়েছে নদিতে ভেসে আসা বিভিন্ন পোকামাকড় ও সাপ ব্যাঙ বাসা বানিয়ে বসবাস করছে।স্কুলের ভিতরে বসার পরিবেশ নষ্ট বিষাক্ত পোকামাকড়েরা বসবাস করছে। তাই বাধ্য হয়েই শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রাস্তার মধ্যেই পঠন পাঠন শুরু করেছে। কখনো প্রখর রৌদ্র কখনো মুষলধারে বৃষ্টি তার মধ্যেই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তীর্থ প্রতিম দেব বলেন, সামনেই পরিক্ষা রয়েছে তাই রাস্তার মধ্যেই বসিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা করানো হচ্ছে।কারন স্কুলের মধ্যে জল ঢুকে সাপখোপ ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের বাসা হয়ে গিয়েছে। সেখানে পড়াশুনা করার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র রান্নাকরাটা কিচেন রুমেই হয়।কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা ও খাওয়া দাওয়া রাস্তার মধ্যেই করাতে হয়। এলাকার এক বাসিন্দা আলাবক্স আলি বলেন, আমার একটা নাতি ও ঐ স্কুলে পড়াশুনা করে।তিস্তা নদীর জল ঢুকে গিয়ে এখন রাস্তার মধ্যেই তাদের পঠন পাঠন চলছে।এই স্কুল সহ এখনো প্রায় ৪০০০ বাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে।
জানা গিয়েছে গত দুইমাস আগেই এই এলাকার বৈদ্যডাঙ্গি নদীতে তিস্তার জল ঢুকে পড়ে। সেই নদীর জল ঢুকে পড়ে দক্ষিণ বাসুসুবা ও উত্তর বাসুসুবাতে ,৮০০ বাড়ি , পূর্ব সাঙ্গোপাড়া, ৬০০বাড়ি চাপাডাঙ্গায়,৩০০ বাড়ি , ডাবুরি পাড়া ৪০০বাড়ি ,দক্ষিন চেংমারি ১০০০বাড়ি, দাসের মোড় ৪০০ বাড়ি সহ আরো ৫০০ বাড়ি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে । তার সাথে এই স্কুলটিও এখনো জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এই জল কবে শুকাবে কেউ জানেনা। এই স্কুলে প্রিপ্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ানো হয়।
