জামুরিয়া প্ল্যান্টে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প আয়োজন করল শ্যাম মেটালিক্স

 ইন্টিগ্রেটেড মেটাল প্রোডিউসিং কোম্পানি শ্যাম মেটালিক্স আজ জামুরিয়া প্ল্যান্টে বড় মাপের ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প সফলভাবে আয়োজন করেছে, যেখানে 800 জন কর্মী অংশ নেন। এর মাধ্যমে কোম্পানি আবারও কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার এবং সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির প্রতি নিজের কমিটমেন্টকে তুলে ধরেছে। এই ইনিশিয়েটিভ শুধু করুণা নয়, বরং একতার স্পিরিটও দেখিয়েছে যা প্রমাণ করে যে ওয়ার্কফোর্সের সলিডারিটি প্ল্যান্টের গেট ছাড়িয়ে বৃহত্তর সমাজকে ছুঁয়ে যেতে পারে। এই ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধন করেন শ্যাম মেটালিক্স, জামুরিয়া ইউনিটের প্ল্যান্ট হেড মি. এস.কে. মাইতি, যার পরেই ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প শুরু হয়। দিনভর চলা এই ইভেন্টে কর্মী, ভলান্টিয়ার আর গেস্টদের দারুণ অংশগ্রহণ দেখা যায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মহারাজ সোমাত্মা নন্দ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদ সদস্য মিসেস লতিফা কাজি, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক মি. নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং জামুরিয়ার বিধায়ক মি. হরিরাম সিং সহ আরও অনেকে।

গেস্টরা মোটিভেশনাল স্পিচ দেন এবং কর্মীদের সঙ্গে ইন্টার‍্যাক্ট করেন, যেখানে তারা শ্যাম মেটালিক্স-এর সোশ্যাল সার্ভিসের কালচার তৈরি করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তারা ডোনেশন ক্যাম্পও ভিজিট করেন এবং ডোনারদের এনকারেজ করেন। শ্যাম মেটালিক্স-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি. ব্ৰিজ ভূষণ আগরওয়াল বলেন, “কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার সবসময়ই আমাদের কাজ করার ধরন-এর একটা ইন্টিগ্রাল অংশ। এ ধরনের ইনিশিয়েটিভ মানে হলো কমপ্যাশন আর রেসপনসিবিলিটির কালচার তৈরি করা। আমাদের এমপ্লয়িরা এত শক্তভাবে এই কারণে ওনারশিপ নিয়েছে দেখে আমি সত্যিই গর্বিত। এই ইনিশিয়েটিভ আমাদের ওয়ার্কফোর্সের সলিডারিটি স্পিরিট আর আমাদের বিশ্বাসকে সামনে আনে—যখন কমিউনিটি এগোয়, তখন আমরাও এগোই। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ইন্ডাস্ট্রি সমাজ থেকে আলাদা নয়, আমরা তারই অংশ, আর তার ওয়েল-বিয়িং নিশ্চিত করতে আমাদের সর্বতোভাবে অবদান রাখা উচিত।

এই উপলক্ষ্যে শ্যাম মেটালিক্স, জামুরিয়া ইউনিট-এর প্ল্যান্ট হেড মি. এস.কে. মাইতি বলেন, “আমাদের প্ল্যান্টের ইউনিটি-র কালচার এখন বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে, ইন্ডাস্ট্রি আর সোসাইটিকে একসঙ্গে যুক্ত করছে। যাঁরা এটা সম্ভব করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাই। কর্মীরা যখন একসাথে এ ধরনের কোনো কারণের জন্য এগিয়ে আসে, তখন সেটা দেখায় আমরা প্ল্যান্টের গণ্ডির বাইরে গিয়েও জীবন আর কমিউনিটিকে কতটা ভ্যালু দিই। আমি কৃতজ্ঞ প্রত্যেক কর্মীর কাছে যাঁরা ব্লাড ডোনেট করেছেন, আর সেইসব গেস্টদের প্রতিও যাঁরা এই ইনিশিয়েটিভকে সাপোর্ট আর এনকারেজ করেছেন।”