একসময় পর্যটকে সরগরম সিসামারা আজ নিস্তব্ধ। বন্যার জলে ভেসে গেছে হাসি-খুশির শব্দ, ভেসে গেছে জীবিকা। পাহাড়ি জলের তোড়ে সিসামারা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মুহূর্তে বিপর্যস্ত হয়েছে ডুয়ার্সের পর্যটন অঞ্চল। নদীর গর্জনে রাতারাতি বদলে গেছে চেনা দৃশ্য — যে জায়গায় একসময় গন্ডারের পদচারণা, আজ সেখানে শুধুই পলি ও ধ্বংসস্তূপ।
বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলদাপাড়ার বহু রিসোর্ট ও হোমস্টে। জনপ্রিয় “Jaldapara Rhino Cottage”-এর গাছবাড়ি এখন অতীত — নদী তার মাটি কেড়ে নিয়েছে। সিসামারা নদীর পাড় এখন রিসোর্টের একেবারে ধারে, ফলে মালিকদের বাধ্য হয়ে কাঠের কাঠামো ভেঙে ফেলতে হয়েছে। আশেপাশের আরও বেশ কিছু রিসোর্টে জল ঢুকে বিপুল ক্ষতি।
পর্যটন নির্ভর এলাকার এই বিপর্যয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে টোটোচালক, গাইড, দোকানদার, রান্নার কাজ করা স্থানীয় মানুষেরা। ডুয়ার্সের গ্রামগুলিতে এখন আতঙ্ক — আগামী বর্ষায় হয়তো আর কিছুই থাকবে না, যদি এখনই বাঁধ নির্মাণ না হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিঠুন সরকার বলেন — “রিসোর্টে জল ঢুকে সব শেষ। এই বাঁধটা না করলে আগামী বছর গ্রামটাই নদীতে চলে যাবে।”
এদিকে, এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ক্ষোভে বলেন —“ইন্দো – ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনের কথা বহুবার বলেছি। কিন্তু কেন্দ্র নীরব। বারবার বলেও কোনও হেলদোল নেই। নদী এবার গ্রাম গিলে খাবে।”
