সুস্থ শুরুর জন্য সকালের নাস্তার কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প

সকালের নাস্তা কেন দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার? কারণ এটি আপনার সারাদিনের পুষ্টির ভিত গড়ে তোলে। ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম খাবারটিই ঠিক করে দেয় আপনি কতটা সুস্থ ও সতেজ থাকবেন। দিনের প্রথম খাবারটি উপভোগ করার জন্য এখানে কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস দেওয়া হলো:

  • দিন শুরু করুন যেভাবে: ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক বা দুই গ্লাস জল পান করুন। এরপর ভেজানো কিশমিশ, বাদাম (৮-১০টি) অথবা দুই টেবিল চামচ ভাজা ছোলা (চিলকাসহ) খেতে পারেন। এটি আপনার বিপাকক্রিয়া (metabolism) দ্রুত শুরু করতে সাহায্য করবে।
  • চা-কফি এড়িয়ে চলুন: সকালে খালি পেটে চা বা কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন। এই পানীয়গুলি অ্যাসিডিটি, বদহজম, বুকজ্বালা এবং পুষ্টির শোষণে বাধা দিতে পারে। এর পরিবর্তে, মৌরি-জিরার হালকা গরম জল, বা মধু ও আদা মেশানো ভেষজ চা পান করতে পারেন।
  • বিস্কুট-রাস্ক নয়: সকালের নাস্তায় রাস্ক বা ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খাবেন না। এতে প্রচুর পরিমাণে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, চিনি এবং ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • সকালের নাস্তা হোক পুষ্টিকর: ঘুম থেকে ওঠার আধ ঘণ্টার মধ্যে একটি ছোট কলা, পেঁপে বা আপেলের টুকরা খেতে পারেন। এর এক ঘণ্টা পর সকালের মূল নাস্তা করা ভালো। আপনার নাস্তায় সর্বদা প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন। মাল্টিগ্রেইন টোস্টের সঙ্গে ডিম, পনির, টোফু বা পিনাট বাটার খেতে পারেন। এতে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকবে।
  • পরোটার স্বাস্থ্যকর বিকল্প: পরোটা যারা ভালোবাসেন, তারা স্টাফড পরোটা বেছে নিতে পারেন। তবে সাধারণ ভাজা পরোটা এড়িয়ে চলুন। ফুলকপি, ব্রকলি, পেঁয়াজ, বিটরুট বা পনিরের পুর দিয়ে তৈরি মাল্টিগ্রেইন পরোটা খেতে পারেন। দই এবং পুদিনা চাটনি দিয়ে এটি আরও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়।