হায়দ্রাবাদের কানহা শান্তি ভানমে অনুষ্ঠিত কৌশল মন্থন আঞ্চলিক কর্মশালায়, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোগ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, “দক্ষতা উন্নয়নের কোনও নির্দেশমূলক টেমপ্লেট থাকতে পারে না। প্রতিটি রাজ্যকে নিজের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও যুবসমাজের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরির স্বাধীনতা দিতে হবে। তাহলেই, আমরা অর্থপূর্ণ প্রভাব এবং টেকসই রূপান্তর ঘটাতে পারব।” তিনি হায়দ্রাবাদ ও চেন্নাইয়ের NSTI-তে দুটি নতুন Centre of Excellence স্থাপনের ঘোষণা করেন। প্রশিক্ষকদের মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, যে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের CITS প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং রাজ্যগুলিকে নিয়োগবিধি NCVT মান অনুযায়ী সংশোধনের জন্য আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, আইটিআইগুলোর মানোন্নয়নের জন্য একটি মূল্যায়ন ও গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দেন।
দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি করতে মন্ত্রী ‘Craft Instructor Training Scheme (CITS)’ সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করেছে। এমনকি, নিয়োগবিধি সংশোধন করে এই যোগ্যতাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে আহ্বান করেছেন, যাতে ভারত জুড়ে প্রশিক্ষণের গুণমান একই থাকে। তাই রাজ্যভিত্তিক উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, অনুষ্ঠানে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী ডি.কে. জোশী কর্নাটকের মন্ত্রী ড. শরণপ্রকাশ আর. পাতিল এবং কেরালার মন্ত্রী শ্রী ভি. শিবনকুট্টি সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে স্কিলিং-এর গুরুত্ব বোঝাতে তিনি DISHA বৈঠককে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার কথাও বলেন। পাশাপাশি, এখানে National Skill Gap Study রিপোর্টের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। MSDE-র উদ্যোগে এবং NCAER-এর পরিচালনায় তৈরি এই প্রতিবেদন সাতটি উচ্চ প্রবৃদ্ধির খাত চিহ্নিত করে দক্ষতার ভবিষ্যৎ চাহিদা বিশ্লেষণ করেছে।
কৌশল মঞ্চ কর্মশালাটি কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উঠে আসে। এখানের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষার সঙ্গে স্কিলিং-এর সংহতি, আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানে ভাষাভিত্তিক প্রশিক্ষণ, এবং বিকশিত ভারত @২০৪৭ -এর লক্ষ্যে যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়া। মন্ত্রী চৌধুরী বলেন, “দক্ষতায় বিনিয়োগের ফল এক দিনে আসে না, তবে এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর, তাই ব্যক্তি, সমাজ এবং দেশের অগ্রগতির জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”