আটকে পড়া বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিক: তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যে ফের উত্তেজনা

ওড়িশায় বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের আটককে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ ও ‘দারিদ্র্যকে অপরাধীকরণ’-এর অভিযোগ এনেছে, অন্যদিকে বিজেপি পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

তৃণমূল সাংসদ ও অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ওড়িশায় আটক ৪৪৪ জনের মধ্যে ৩৩৫ জনের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক জারি করা ‘জাল নথি’ থাকার যে দাবি মালব্য করেছেন, তার স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে হবে। ইসলাম প্রশ্ন তোলেন, যদি তারা সত্যিই বাংলাদেশী হয়, তাহলে কেন বিজেপি শাসিত ওড়িশা সরকার বেশিরভাগ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে? তিনি আরও দাবি করেন, আধার এবং ভোটার পরিচয়পত্র কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক জারি করা নথি, রাজ্যের নয়।

ইসলাম অভিযোগ করেন, মালব্যের মন্তব্য ‘বাঙালি-বিরোধী’ পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ করে। তিনি বলেন, দরিদ্র বাংলাভাষী কর্মীদের আটক করা ‘অসাংবিধানিক ও অপরাধ’। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হলেও প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে বিএসএফ তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দিল।

অন্যদিকে, মালব্য অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেস ‘জনসংখ্যাগত অনুপ্রবেশ’ ঘটিয়ে ‘জাতীয় নিরাপত্তার সাথে আপস’ করছে। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য জাল নথি তৈরি করছে, যারা অন্যান্য রাজ্যে কাজ করে এবং ভোট দিতে বাংলায় ফিরে আসে।

এর আগে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির জয় হিন্দ কলোনির বাংলাভাষী বাসিন্দাদের ‘জোরপূর্বক উচ্ছেদ’ এবং ‘পরিকল্পিত হয়রানি’র নিন্দা জানিয়েছিলেন। তিনি জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা এবং ব্যক্তিগত জলের ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।