বিশ্ব আয়োডিন ঘাটতি দিবস (ডব্লুআইডিডি) উপলক্ষে, ভারতে আয়োডিনযুক্ত নুন তৈরির ক্ষেত্রে পথিকৃৎ ও লবণের বাজারে শীর্ষস্থানাধিকারী প্রতিষ্ঠান টাটা সল্ট দেশব্যাপী শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের অভাবজনিত ব্যাধি (আইডিডি) প্রতিরোধে তাদের দায়বদ্ধতার কথা ফের তুলে ধরল। আয়োডিন এমন এক অনুপুষ্ঠিকর বা মাইক্রোনিউট্রিয়্যান্ট উপাদান- যা শিশুদের মানসিক বিকাশে অপরিহার্য। আয়োডিনযুক্ত নুন হিসেবে দেশের প্রথম ব্র্যান্ডেড লবণ নির্মাতা সংস্থা টাটা সল্ট বহু বছর ধরে মানুষকে আয়োডিনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে আসছে। নুনে আয়োডিন যোগ করা এখন সরকারের তরফেই বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য রান্নাঘরে থাকা আয়োডিনযুক্ত নুন শুধুমাত্র শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, তা আমাদের সুস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নুন যেহেতু এমন একটি উপাদান যা প্রায় প্রতিটি পরিবারে ব্যবহৃত হয়, তাই আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ (আইডিডি) প্রতিরোধে ‘সর্বজনীন লবণ আয়োডিন যুক্তকরণ (ইউএসআই)’ কর্মসূচির মাধ্যমে নুনকে আয়োডিন সরবরাহের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরেই, আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ ও তার ফলে দেখা দেওয়া দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে এই কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। ভারতও এই কর্মসূচির মাধ্যমে আয়োডিনের ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যা অনেকাংশে দূর করতে পেরেছে। ২০১৮–১৯ সালের ‘ভারত আয়োডিন সমীক্ষা’ অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৭৬.৩% পরিবার পর্যাপ্ত পরিমাণ, অর্থাৎ ১৫ পার্ট প্রতি মিলিয়ন (পিপিএম) আয়োডিনযুক্ত নুন ব্যবহার করে। তবে সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে, মাত্র ২২.৪% মানুষ আয়োডিনযুক্ত নুনের উপকারিতা সঠিকভাবে জানেন ও ৬১.৪% মানুষ জানেন যে, পর্যাপ্ত আয়োডিন গ্রহণ গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধে করে।
টাটা সল্ট এখন তাদের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী স্লোগান ‘নমক হো টাটা কা… টাটা নমক’ ভারতের হৃদয়ের গভীর পর্যন্ত প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম ও টেলিভিশনে ব্যাপাক সাড়া মেলার পরে, টাটা সল্ট তাদের জনপ্রিয় শ্রব্য প্রচারাভিযান ‘নমক হো টাটা কা… টাটা নমক’–এর পরিসর দেশের গ্রাম ও আধা–শহুরে এলাকাগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধান যাতায়াত স্থানগুলিতে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি অডিও অ্যাক্টিভেশনের সাহায্য নিচ্ছে। পরম্পরাগত সংস্কৃতি ও জাতীয় লক্ষ্যকে মাথায় রেখে নির্মিত এই প্রচারাভিযানে শিশুদের মানসিক বিকাশে পর্যাপ্ত আয়োডিন গ্রহণের প্রভাব এবং সেই সঙ্গে দেশের দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতিতে তার ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
