টাটা টি গোল্ডের শিল্পী সজ্জিত পুজো

সমৃদ্ধ শিল্পকলা, দক্ষ কারিগর এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সুপরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় চা ব্র্যান্ড টাটা টি গোল্ড আবারও ফিরে এসেছে তার দুর্গাপূজো ক্যাম্পেইন নিয়ে। এ বছর, ব্র্যান্ডটি রাজ্যের স্থানীয় শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লঞ্চ করেছে বিশেষ লিমিটেড এডিশন ফেস্টিভ প্যাক, যা তৈরি হয়েছে বাঙালি শিল্পীদের সহযোগিতায়। এই শিল্পীরা অ্যাক্রিলিক পেইন্টিং, অয়েল পেইন্টিং, ড্রাই প্যাস্টেল, ওয়াটারকালার এবং ডিজিটাল আর্টের মতো বিভিন্ন শিল্পরীতির মাধ্যমে প্যাকের গায়ে ফুটিয়ে তুলেছেন পূজোর অনন্য রূপ ও আবেগ। এই বিশেষ প্যাকগুলির নকশা করেছেন খ্যাতনামা শিল্পীরা— গৌতম সরকার, যিনি অ্যাক্রিলিক পেইন্টে তাঁর বিস্ময়কর বাস্তবধর্মী সৃষ্টির জন্য পরিচিত; গোপাল নস্কর, যিনি ড্রাই প্যাস্টেলের মাধ্যমে ভারতীয় পৌরাণিক শিল্পকে আধুনিক বাস্তববাদের সঙ্গে অসাধারণভাবে মিলিয়ে দেন; গৌরব কুণ্ডু, যিনি জলরঙের মাধ্যমে তুলে ধরেন আবেগঘন অভিব্যক্তি; অঞ্জন ভট্টাচার্য, যিনি উজ্জ্বল অয়েল পেইন্টিংয়ের জন্য সুপরিচিত; এবং জয়ীতা বোস, যিনি ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে অভিব্যক্তিতে জাদু বুনেছেন।

প্রতিটি শিল্পী জীবন্ত করে তুলেছেন এই প্রাণবন্ত উৎসবের বৈচিত্র্যময় আনন্দ— ষষ্ঠীর ঢাকের তালে, সপ্তমীর শঙ্খধ্বনির আহ্বানে, অষ্টমীর অঞ্জলির ভক্তিতে, নবমীর ধুনুচি নাচের উচ্ছ্বাসে এবং দশমীর সিঁদুর খেলায়। একত্রে এই অনন্য প্যাকগুলো গ্রাহকদের জন্য উপস্থাপন করছে এক সংগ্রহযোগ্য সিরিজ, যা একদিকে নস্টালজিয়ার ছোঁয়ায়, অন্যদিকে পূজোর প্রাণোচ্ছল আবহকে নতুন করে অনুভব করায়। টাটা টি গোল্ড এ বছরের উৎসবের সূচনা করেছে ১৬ই সেপ্টেম্বর কলকাতার তাজ বেঙ্গলে এক বিশেষ মিডিয়া গ্যাদারিং-এর মাধ্যমে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস-এর প্রেসিডেন্ট – প্যাকেজড বেভারেজেস, ইন্ডিয়া ও সাউথ এশিয়া, শ্রী পুনীত দাস। এদিন উৎসব প্যাকের আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পাশাপাশি শিল্পীদের লাইভ আর্ট প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাঁদের নিখুঁত শিল্পকর্ম দর্শকদের মুগ্ধ করে।

ব্র্যান্ডটি এ বছর উন্মোচন করেছে একটি বিশেষ টিভিসি, যা পুজোকে এক জীবন্ত শিল্পকর্ম হিসেবে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানায়। পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের জন্য প্রথমবারের মতো উপস্থাপিত এই AI ফিল্মটি শুরু হয় এক বাঙালি বাড়িতে টাটা টি গোল্ড-এর ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা দিয়ে। এরপর গল্পটি রঙিন প্যান্ডেল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী পাড়াগুলির ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলে, পথজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আবহ। কাপ থেকে উঠতে থাকা ধোঁয়া ধীরে ধীরে রঙের তুলির আঁচড়ে রূপ নেয়, আর সেই আঁচড়গুলোই মিলেমিশে গড়ে তোলে প্রাণবন্ত ছবিগুলো, যা শেষে নিখুঁতভাবে মিশে যায় উৎসব প্যাকগুলির নকশায়। প্রতিটি মুহূর্ত—ঢাকের বাদন, শঙ্খের ধ্বনি, অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর ধুনুচি নাচ, আর দশমীর সিঁদুর খেলায় উচ্ছ্বাস—সবকিছু যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে এক চলমান ছবির মতো। চলচ্চিত্রটির সমাপ্তি ঘটে এক আনন্দময় ট্যাবলো দিয়ে, যা প্রচারের মূল ভাবনাকে ফুটিয়ে তোলে: ‘বাংলার পুজো এক সোনার ছবির মতো’—অর্থাৎ বাংলার দুর্গাপুজো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠা এক সোনালী শিল্পকর্ম।