বেতন-পিএফ-বিমার দাবিতে কলকাতায় চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ, প্রতিশ্রুতির আশ্বাসে ফিরলেন ঘরে

উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ইউল হাউসে বিক্ষোভ। আলোচনায় বেরল সমাধান৷ অবশেষে কিছুট আশ্বস্ত হয়েছেন চা শ্রমিকরা। চা বাগানের পরিস্থিতি খারাপ৷ দিনের পর দিন বেতন বন্ধ চা শ্রমিকদের, পরিচর্যার অভাবে ভুগছে চা বাগান। একাধিক অভিযোগ। বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। গতকাল উত্তরবঙ্গ থেকে চা শ্রমিকরা এসেছিলেন কলকাতায়।

বানারহাট, নিউ ডুয়ার্স, চুনাভাটি, কারবালা চা বাগান মিলে তৈরি হয়েছে একটি ইউনিয়ন যার নাম ডুয়ার্স ইউল বাগান বাঁচাও কমিটি। এই চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রয়েছে৷ দীর্ঘদিন পরিচর্যার অভাব, বেতন না পাওয়া, পিএফ না পাওয়া ও মেডিক্লেম না পাওয়ার অভিযোগ। সোমবার প্রায় ১০০ জন চা শ্রমিক কলকাতার হেড অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তারা।

কলকাতার ইউল হাউসে সি.এম.ডি অনন্ত সিং-এর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন চা শ্রমিকরা। বৈঠকও হয় চারটি চা বাগানের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকে সমাধানও মিলেছে বলে জানাচ্ছেন চা শ্রমিকরা।

চার সপ্তাহে যেভাবে তাদের বর্তমান বেতন দেওয়া হয়। সাপ্তাহিক সেই বেতনের সঙ্গে আরও বাড়তি দুটি সপ্তাহ ভাগ করে পূর্বের বকেয়া মেটান হবে বলেই জানিয়েছেন সিএমডি অন্তত: সিং। এর আগেও দুর্বাবস্থার কথা বারবার জানান হয়েছে সাংসদদের। চিঠিও করা হয়েছে কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি বলেই অভিযোগ চা শ্রমিকদের। দিনের দিনের পর পরিচর্যায় অভাবে ভুগছে চা বাগান। অবশেষে পরিচর্যাও ঠিক মতো করা হবে বলে আশ্বাস মিলেছে।

পিএফ ক্ষেত্রেও ইতিবাচক কথায় শোনা গিয়েছে সিএমডি-এর মুখে। বানারহাট  চা বাগানের একজন চা শ্রমিক আজাদ গোস্বামীর কথায়, চা বাগানই আমাদের বাড়ি, আমাদের কাজের জায়গাও চা বাগান। দিন-রাত এক করে আমরা চা বাগান বাঁচিয়ে রেখেছি। এখন আমাদের সেই চা বাগানে চলছে দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় সরকার কেন এমন করছে জানি না। সি.এম.ডি বলছেন, কেন্দ্র থেকে কোনও ফান্ড পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এভাবেই কাটছে দিন। তিনি অপরাগ তিনি এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না। অবশেষে কলকাতায় মিলল ইতিবাচক উত্তর।