চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর একটিয়াসাল এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার গভীর রাতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, প্রায় আড়াই বছর আগে নির্মিত একটি বাড়িতে বিগত কয়েকদিন ধরে গোপনে টাওয়ার বসানোর কাজ চলছিল। এলাকাবাসীদের দাবি—তাঁদের একেবারেই অজ্ঞাত রেখে রাতের অন্ধকারে যন্ত্রপাতি ঢোকানো হচ্ছিল। স্থানীয়রা জানান, সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির মালিককে প্রশ্ন করা হলে প্রথমে জানানো হয় “সেপটিক ট্যাংকের কাজ চলছে।
তবে এর মধ্যেই বেশ কয়েক রাত ধরে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ে এলাকাবাসীর মোবাইলে। পরিস্থিতি চরমে ওঠে মঙ্গলবার রাতে, যখন টাওয়ারের ভারী যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন এবং বাড়ির মালিকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ—পুরো প্রক্রিয়াই গোপনে করা হয়েছে। তাঁদের ফোনে কাউন্সিলরকে জানানো হলে তিনি নাকি জানান, টাওয়ার বসানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে বাড়ির মালিকের দাবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁর বক্তব্য—সংশ্লিষ্ট টাওয়ার কোম্পানি তাঁকে জানিয়েছে যে এই প্রকল্পের এনওসি কাউন্সিলর মুন্না প্রসাদ নিজেই দিয়েছেন।
ফলে দুইপক্ষের বক্তব্য একেবারেই ভিন্ন, এবং প্রশ্ন উঠেছে—কার দাবি সত্য, আর কার নয়? বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত টাওয়ার বসানোর কাজ আপাতত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। ভক্তিনগর থানার পুলিশ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি, বাড়ির মালিক এবং এলাকাবাসীদের থানায় উপস্থিত হতে বলেছে এবং পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। ঘটনার শেষে কাউন্সিলরের তরফে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিনের ঘটনায় গোটা একটিয়াসাল এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং রাতভর টাওয়ার-বিতর্কই ছিল স্থানীয়দের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
