প্রাচীন রীতি মেনে আজও পাঁঠা বলি হয় প্রাচীন অরণ্য কালি পূজায়

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলিসাদী গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন অরণ্য কালী মন্দির। অর্থাৎ তৎকালীন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকায় ছিল জঙ্গল সেখানেই গ্রামের মঙ্গল কামনায় এক সাধু বাবা জঙ্গলের মধ্যে শুরু করেছিলেন প্রাচীন অরণ্য কালী পূজা তারপর আস্তে আস্তে পরবর্তীতে এলাকার মজুমদার পরিবার সেই দায়িত্ব ভার বেশ কিছু বছর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে মজুমদার পরিবার এলাকা থেকে চলে যাওয়ার সময় এলাকার ভট্টাচার্য পরিবারের হাতে সেই পূজার দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন মজুমদার পরিবারের সদস্যরা, তারপর থেকেই ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে আজও পূজিত হচ্ছেন প্রাচীন এই অরণ্যকালী, কথিত আছে এই অরণ্য কালী মন্দিরের কালীমাতা খুবই জাগ্রত অর্থাৎ কালিবাড়ি জঙ্গলের পাশে থাকা একটি স্নানের পুকুরে মা স্নান করে লাল পাড়ের শাড়ি পড়ে মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতেন ভট্টাচার্য পরিবার সহ অনেক ভক্তদের সামনেও মা এই রূপে দেখাও দিয়েছেন শুধু তাই নয় এই অরণ্যকালী মাতা কবি জাগ্রত এখানে যে যা মানত করেন অর্থাৎ মন কামনা নিয়ে কালিমাতার মন্দিরে সুতো ঢিল মেরে দিয়ে আসেন অর্থাৎ মায়ের কাছে চাইতে যান কেউই ফিরে আসেন না একথা এলাকার মানুষ জানিয়েছেন ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন পূজোর এক সপ্তাহ আগে প্রতিমা বিসর্জন করে দেওয়া হয় তারপর ঠিক যেদিন পূজা শুরু হবে, পূজার পণ্য লগ্নে আবারো মায়ের মূর্তি স্থাপন করা হবে যা সারা বছর ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে পুজিত হন ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন প্রাচীন রীতি মেনে এখনো পূজার দিন পাঁচ রকম ভাজা সহ ভোগ তৈরি হয় যা হাজার হাজার ভক্তরা গ্রহণ করেন শুধু তাই নয় প্রাচীন রীতি মেনে আজও পাঁঠা বলি হয় প্রাচীন এই অরণ্য কালি মাতার পূজায় প্রাচীন এই পূজা ঘিরে রয়েছে একাধিক রহস্য যা এলাকার মানুষের মুখে মুখে আজও শোনা যায় শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এলাকা খলিসাদী সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই অরণ্য কালী মাতার নাম ছড়িয়ে পড়েছে তাই আজও বিভিন্ন জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা পূজার সময় ভিড় জওয়ান এই অরণ্য কালী মন্দিরে। জানা যায় ২০২৫ অর্থাৎ এ বছর ভট্টাচার্য পরিবারের পার্থ ভট্টাচার্য নামে ব্যক্তির হাতে এবার পূজার দায়িত্ব রয়েছে।