চাল ধোয়ার সঠিক নিয়মেই লুকিয়ে বাসমতী ভাতের ঘ্রাণ ও গুণমান

রোজকার খাওয়াদাওয়ায় মিনিকেট চালের ভাত বাঙালির পেট তো ভরায়ই, তবে সপ্তাহে অন্তত একদিন একটু ভাল চালের স্বাদে ডুব দিতে চায় অনেকেই। আর ভাল চাল মানেই তো বাসমতী — সেই দীর্ঘ দানার চাল, যার ঘ্রাণেই অর্ধেক খাওয়া সেরে যায়!

তবে অনেকেই অভিযোগ করেন, বাসমতীর ভাত যতই নিয়ম মেনে রান্না হোক না কেন, সেই কাঙ্ক্ষিত সুবাস যেন উধাও! রান্নার দোষ নয়, বলছেন রন্ধনশিল্পীরা — সমস্যার গোড়ায় রয়েছে চাল ধোয়ার পদ্ধতি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চাল ধোয়ার উপরই নির্ভর করে ভাতের স্বাদ, গন্ধ এবং টেক্সচার। বারবার ধুলে যেমন চালের প্রাকৃতিক সুবাস হারিয়ে যায়, তেমনই তার পুষ্টিগুণও কমে। বেশি ধুলে চাল চটচটে হয়ে যেতে পারে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।

তবে চাল না ধুয়ে উপায়ও নেই। চালের গায়ে লেগে থাকা রাসায়নিক, ধুলো এবং অতিরিক্ত স্টার্চ ধুয়ে ফেলতেই হয়। কিন্তু কতবার ধুতে হবে? এ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও চালের প্রকারভেদ অনুযায়ী পরিবর্তন আসে।

বাসমতীর মতো সুগন্ধি চালের ক্ষেত্রে পরামর্শ একটাই — বারবার ধোবেন না। বরং রান্নার আগে তিন থেকে চার ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখলেই চাল যেমন ফুলে ওঠে, তেমনই তার স্বাদ ও সুবাস অটুট থাকে। অন্যদিকে স্টিকি রাইস বা আঠালো ধরণের চালের ক্ষেত্রে বেশি ধোয়ার প্রয়োজন পড়ে না, তবে চালে থাকা ময়লা পরিস্কার হওয়া পর্যন্ত ধোয়া উচিত।

অনেকে আবার মনে করেন গরম জলে ধুলেই চাল বেশি পরিষ্কার হয়। এই ধারণাও ভুল, বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। গরম জলে নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে ধুলেই পাওয়া যাবে ঝরঝরে, সাদা বাসমতী ভাত — আর সঙ্গী হবে তার অনন্য সুবাস।