জলঢাকা নদীর বাঁধ ভে*ঙে বি*পর্যস্ত গধেয়ারকুঠি! দু*র্গতদের পাশে মীনাক্ষী

জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত হয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে ফসল, মৃত গবাদি পশুর দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা। বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন রেল লাইনের ধারে তাবু খাটিয়ে। বৃহস্পতিবার দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জী।

প্রথমে গধেয়ারকুঠির হোগলাপাতা এলাকার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে। এরপর দুটি রেললাইন পেরিয়ে পৌঁছায় জলঢাকা নদীর বাঁধের মূল ভাঙন এলাকায়, যেখানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা গ্রাম।

দুর্গতদের ক্ষোভ, “বিডিও বা জয়েন্ট বিডিও এক-দু’বার এসেছেন, কিন্তু কোনও মন্ত্রী বা বড় নেতা দুঃখ দেখতে আসেননি। ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, খাবার নেই, ওষুধ নেই, দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না।”

তাদের মূল দাবি—দ্রুত বাঁধ মেরামত ও ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখে মীনাক্ষী মুখার্জী বলেন, “দুর্গতদের পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের কোনও স্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। আমি, আপনি, সবাই এই বিপর্যয় দেখছি — কিন্তু সরকার দেখছে না। রাজ্য সরকারকে মানবিক হতে হবে। বাড়িঘর হারানো মানুষ বিনা লড়াইয়ে ছেড়ে দেবে না।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ ভাঙার পর এত দিন কেটে গেলেও প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। এখনো গধেয়ারকুঠি, হোগলাপাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।