মায়ের আগমনের আনন্দে প্রতিমা গড়ার ব্যস্ততা তুঙ্গে

আর মাত্র ১৬ দিন পরেই মায়ের আগমন। শহরের মতোই এখন ব্যস্ততার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামবাংলাতেও। রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরে ঢুকতেই চোখে পড়ে – বাঁশ, খড়, মাটি আর তুলির গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। প্রতিমাশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় যেন ধীরে ধীরে প্রাণ পাচ্ছেন দেবী দুর্গা। পাশাপাশি একই চিত্র শিলিগুড়ির কুমারটুলি সহ পালপাড়ার মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা।

কারিগরদের কথায়, “বছরের অন্য সময়টা তেমন কাজ থাকে না। কিন্তু দুর্গোৎসব এলেই দিন ফিরতে শুরু করে। এবছর প্রায় ৩০টি প্রতিমার বরাদ পেয়েছি অনেকেই। এগুলো রাজগঞ্জ ছাড়াও বেলাকোবা, আমবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যাবে।”

তবে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একরাশ চিন্তাও। প্রতিমাশিল্পীদের আক্ষেপ – মাটি, খড়, রং, বাঁশ সহ সবকিছুর দাম লাফিয়ে বাড়ছে। শ্রমিকদের মজুরিও আগের তুলনায় দ্বিগুণ। কিন্তু প্রতিমার দাম সেই হারে বাড়ছে না। ফলে লাভের অঙ্ক মিলছে না বলেই জানান তাঁরা।

তবুও খড়ের কাঠামোয় যখন ভরাট হচ্ছে মাটির প্রলেপ, চোখের মণিতে যখন ফুটে উঠছে দেবীর আভা— তখন সেই সমস্ত হিসেব ভুলে যায় শিল্পীরা। তাঁদের কাছে দুর্গা প্রতিমা শুধু ব্যবসা নয়, বরং এক অদৃশ্য বিশ্বাস ও সংস্কৃতির বাহন। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই মায়ের আগমনের দিন গোনায় এখন ব্যস্ত রাজগঞ্জ থেকে শিলিগুড়ির কুমোরটুলি।