তাঁর প্রয়াণের পর থেকেই চলছিল একাধিক জল্পনা, রতন টাটার প্রয়াণের পর থেকেই ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপে নেমেছে অস্থিরতা। টাটা ট্রাস্টের অভ্যন্তরে বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব, যা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিতে টাটা গ্রুপের প্রভাব এবং গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজে উদ্যোগ নিয়ে টাটা ট্রাস্ট এবং টাটা সন্সের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। রতন টাটার মৃত্যুর পর টাটা ট্রাস্টের চারজন ট্রাস্টি— দারিয়াস খামবাটা, জাহাঙ্গির এইচসি, প্রমিত জাভেরি ও মেহলি মিস্ত্রি— মিলে এক ধরনের ‘সুপার বোর্ড’ তৈরি করেছেন। তারা টাটা গ্রুপের নতুন চেয়ারম্যান নোয়েল টাটার নির্দেশকে উপেক্ষা করছেন। ফলে টাটা সন্সের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সংগঠনের অভ্যন্তরে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব টাটা গ্রুপের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়— টাটা গ্রুপে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতেই হবে এবং কোনও অভ্যন্তরীণ বিরোধ যেন সংস্থার কাজ বা ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত না করে।
