সকালে অফিস হোক কিংবা বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া, নানা কারণেই ব্রেকফাস্টের সময় প্রায় সব বাড়িতেই থাকে তাড়াহুড়ো। এই তাড়াহুড়োর জন্যই অনেকসময় সকালে আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। এই তাড়াহুড়োর সময়ে বেছে নিতে পারেন এক স্বাস্থ্যকর খাবার – ছাতু। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম ছাতু। পেশি শক্তিও বাড়ায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও উপকারী ছাতু।
কীভাবে খাবেন?
ছাতু মাখা : ছাতুতে সামান্য সর্ষের তেল, কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা মিশিয়ে তাতে অল্প জল ও স্বাদমতো নুন দিয়ে আলু ভর্তার মতো মেখে খাওয়া যেতে পারে। শুকনো ছাতু টিফিনেও নিতে পারেন। তবে শুকনো ছাতু খেতে অসুবিধা হলে জলের পরিমাণ বাড়িয়ে কাদার মতোও গুলে নিতে পারেন। অনেকে মুড়ির সঙ্গেও ছাতু মেখে খান।
শরবত : শরীরে জলের অভাব দূর করতে পারে এক গ্লাস ছাতুর সরবত। বিটনুন, গোলমরিচ, ধনেপাতা দিয়ে ছাতু জল গুলে নিন। দিতে পারেন পাতিলেবুর রস। পাতিলেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চিলা : ছাতু জল দিয়ে গুলে তাতে পেঁয়াজ, ধনেপাতা, ক্যাপসিকাম, গাজর কুচি, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা যোগ করে বানিয়ে নিন চিলা। আবার ছাতু দিয়ে অমলেটের মতো বানিয়ে ভিতরে পনির, ছানার পুরও দেওয়া যায়। এতে পেটও ভরা থাকবে, আবার শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ সবই মিলবে।
