অভিযোগ উঠেছে একাধিক জমি নিয়ে

রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই একাধিক ঘোষণা করা হয় সরকরের তরফে। এবারও করা হলো আরও এক ঘোষণা। রাজ্যের উন্নতিই প্রধান কার্য, এবারও করা হলো আরও এক ঘোষণা। কলকাতা শহরের জমি ও সম্পত্তির কর কাঠামোয় বড়সড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে কি না, সম্প্রতি সেই প্রশ্নই উঠে এসেছে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে। এক বাসিন্দার অভিযোগের পর চমকে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

এরপরই কলকাতা পুরসভার কর দপ্তরে শুরু হয় তৎপরতা, জোর দেওয়া হচ্ছে শহরজুড়ে জমি-সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়নে। পুর-করের আওতায় যে সকল সম্পত্তিকে নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি, সেই বিষয়ে নতুন করে গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। একই সঙ্গে মিউটেশন প্রক্রিয়ায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে কোনও জমি বা সম্পত্তি করের হিসাবের বাইরে না থাকে।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহর জুড়ে জমি ও সম্পত্তির করের পুনর্মূল্যায়ন হতে পারে। বিশেষত সংযুক্ত এলাকাগুলিতে এই উদ্যোগের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিগত সপ্তাহে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বরো ১৩-র হরিদেবপুর এলাকার এক মহিলা বাসিন্দা ফোনে জানান, প্রায় ৪৫ কাঠা জমির বার্ষিক সম্পত্তিকর মাত্র ১০৪ টাকা। অভিযোগ শুনেই বিস্মিত হন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এত বড় জমির এত কম কর অস্বাভাবিক বলেই মনে করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুরো বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন পুরসভার সম্পত্তিকর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগকে।