এবছর এই পৌষমেলা ১৮২ বছরে পদার্পণ করল। শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ সহ বিশ্বভারতীর বিভিন্ন স্তরের অধ্যাপক, কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকের উপস্থিতিতেও মুখরিত হয়ে ওঠে ছাতিমতলা চত্বর।
ঐতিহাসিকভাবে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষাগ্রহণের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই পৌষ উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই সময় থেকেই এই উৎসব শান্তিনিকেতনের এক অনন্য সাংস্কৃতিক পরম্পরায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ভোরের আলো ফুটতেই রবীন্দ্রসংগীত ও বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পৌষ উৎসব ও পৌষ মেলার অনুষ্ঠান।
শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই আচার-অনুষ্ঠান শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়। এদিনের পৌষ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলাশাসক ধবল জৈন, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
