দেড় বছর পর কাটোয়ায় খুলল তৃণমূলের বন্ধ কার্যালয়, শান্ত-অপূর্বের ‘মিলন’ ঘিরে রাজনৈতিক বার্তা

দীর্ঘ দেড় বছরের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে খুলল কাটোয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কার্যালয়। দেবীপক্ষের সূচনায় শান্ত ঘোষ ও অপূর্ব চক্রবর্তীর ‘মিলন’ ঘিরে দলীয় মহলে নতুন বার্তা—দলীয় ঐক্য ও সংগঠন পুনর্গঠনের পথে ফের সক্রিয় কাটোয়া তৃণমূল।

২০২৪ সালের গোড়ায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে কাটোয়ার তৃণমূল কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। শান্ত ঘোষ ও অপূর্ব চক্রবর্তীর অনৈক্য, কর্মীদের মধ্যে বিভাজন এবং সাংগঠনিক স্থবিরতা দীর্ঘদিন ধরে কাটোয়ার রাজনৈতিক আবহে প্রভাব ফেলেছিল। স্থানীয় স্তরে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দল সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংগঠন বিস্তারে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

দেড় বছর পর মহালয়ার দিনেই শান্ত-অপূর্ব একসঙ্গে হাজির হন দলীয় কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব, স্থানীয় কাউন্সিলর ও কর্মীরা। দলীয় পতাকা উত্তোলন, প্রদীপ প্রজ্বলন ও একযোগে মিছিলের মাধ্যমে ফের চালু হয় দলীয় কার্যক্রম। শান্ত ঘোষ বলেন, “দল বড়, মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেবীপক্ষে আমরা নতুন সূচনা করছি।” অপূর্ব চক্রবর্তীর মন্তব্য, “জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।”

জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, কাটোয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরসভায় দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকা রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর ছিল। এখন ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনকে নতুন করে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তী প্রস্তুতির জন্য এই ‘মিলন’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কাটোয়ার মতো পুরনো তৃণমূল ঘাঁটিতে দলীয় ঐক্য ফিরলে তা জেলার রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।