নদিয়ার শান্তিপুরে নজির বিহীন চমক

নিরঞ্জন সরকার নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি নিজের বাড়ির বাগানে এমন এক কলা গাছ ফলিয়েছেন, যার কাঁদি প্রায় সাত ফুট লম্বা এবং তাতে হয়েছে এক হাজারেরও বেশি কলা। আশ্চর্যের বিষয়—গাছের উচ্চতার তুলনায় কাঁদিটি এতটাই বড় যে মাটিতে আলাদা গর্ত কেটে জায়গা তৈরি করতে হয়েছে কাঁদিকে নীচে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। এই কলা গাছটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘হাজারি কলা গাছ’ নামে। মূলত ব্যাঙ্গালোরের একটি বিশেষ প্রজাতির কলা এটি। নিরঞ্জনবাবুর কথায়, কলা ফলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিগত আট মাস ধরে কাঁদিটি আরও বড় হচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে তিনি চারা লাগিয়েছিলেন। এখন সেই গাছই হয়ে উঠেছে মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।

এই কলার বিশেষত্ব এর স্বাদেও। ছোট আকারের এই কলাগুলি ভীষণ মিষ্টি ও খেতে সুস্বাদু। কাঁদির উপরের দিক থেকে কলার পাক ধীরে ধীরে নীচের দিকে ছড়ায় এবং সময়ের সঙ্গে পুরো কাঁদিটি পেকে যায়। পরিচর্যার ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনও জটিলতা নেই—কেবল গোবর সার দিলেই গাছটি ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। কোনও অতিরিক্ত রাসায়নিক সার বা ওষুধ ব্যবহার করতে হয়নি বলে জানান নিরঞ্জনবাবু। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর গাছপালার প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পরিবারের সূত্রে শেখা পদ্ধতিতে তিনি পরিচর্যা করে তুলেছেন এই অনন্য কলা গাছটি।

ইতিমধ্যেই গাছের শিকড় থেকে নতুন কলাগাছের জন্ম হয়েছে, যা ভবিষ্যতে একই ধরনের ফলন দেবে বলে আশাবাদী তিনি। এমন বিরল কলার কাঁদি দেখতে ইতিমধ্যেই আশপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ ভিড় করছেন। অনেকেই ছবি তুলছেন, কেউ কেউ এই বিশেষ কলার স্বাদও নিচ্ছেন। যাঁরা ব্যবসার উদ্দেশ্যে এই প্রজাতির কলা চাষ করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য নিরঞ্জনবাবুর কাছ থেকেই পাওয়া যাবে এই কলার চারা—এমনটাই জানালেন তিনি।