মধ্যরাতে কোচবিহারের আকাশে যুদ্ধবিমান, চাঞ্চল্য

ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’-এর প্রভাবে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার মধ্যেই কোচবিহারের আকাশে মাঝরাতে যুদ্ধবিমানের চক্কর কাটাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যুদ্ধবিমানের প্রবল গর্জনে বহু মানুষ ভয় পেয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

আতঙ্কের কারণ ও ঘটনার বিবরণ: মাঝরাতে এমন ঘটনা বিরল। এর আগে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় রাতে ট্রায়ালের ঘটনা ঘটলেও, তা ছিল পূর্বনির্ধারিত। শুধু কোচবিহার নয়, ডুয়ার্সের আকাশেও যুদ্ধবিমানকে চক্কর কাটতে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন এবং কেউ কেউ ২৬-২৭ অক্টোবর মধ্যরাতে জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনার গোলাগুলির প্রসঙ্গও টেনে আনছেন।

প্রশাসন ও সেনার প্রতিক্রিয়া: এই রহস্যময় চক্কর কাটার কারণ সম্পর্কে সেনা বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি: কোচবিহার বিমানবন্দরের এক আধিকারিক এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি শুধু বলেছেন, “এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে বায়ুসেনার নাইট ফ্লাইং মাঝেমধ্যেই হয়। সেই রকম কিছু হতে পারে।” আলিপুরের হাসিমারাতে বায়ুসেনার ঘাঁটি থাকা সত্ত্বেও, সেনার তরফে এই রাতে চক্কর কাটার কারণ সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

মধ্যরাতে এটি নিছকই বায়ুসেনার নাইট ফ্লাইং (রাতের মহড়া) ছিল, নাকি অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল—তা এখনও রহস্যাবৃত।