শনিবার ভোরে ফের বুনো হাতির তাণ্ডবে চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের উত্তর বারঘরিয়া, তাতিপাড়া ও টিনবাড়ী গ্রামে। ভোরের আলো ফোটার পর পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একদল হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তে নষ্ট হয় কলাগাছ, বিভিন্ন আনাজের গাছ ও লতাপাতা। সকাল আটটা পর্যন্ত হাতির দলটি টিনবাড়ী এলাকার একটি ছোট চা বাগানে ঘোরাফেরা করে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান আপালচাঁদ বন বিভাগের কর্মীরা। বনকর্মীদের তৎপরতায় তাতিপাড়ায় আটকে থাকা দুটি হাতি সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জঙ্গলের পথে চলে যায়। তবে টিনবাড়ী এলাকায় শাবকসহ প্রায় বারোটি হাতি চা বাগান ও ধানক্ষেতে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে। অবশেষে বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে বোম ফাটিয়ে হাতিগুলোকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বারঘরিয়া এলাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও তাতিপাড়ার হাতি দুটি জঙ্গলে ফেরার পথে মাল ব্লকের চেলধুরা গ্রামের বাসিন্দা শাবিনুর ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর শোয়ার ঘরের একাংশ ভেঙে যায়। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান শাবিনুর ইসলাম ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে আপালচাঁদ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার নবাঙ্কুর ঘোষ জানান, “দলছুট বুনো হাতিগুলো বিভিন্ন এলাকায় বিভক্ত হয়ে আটকে পড়েছিল। খবর পেয়ে বনদপ্তরের টিম দ্রুত পৌঁছে যায়। যেহেতু সকাল হয়ে গিয়েছিল ও মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা ছিল, তাই বোম ফাটিয়ে সতর্কতার সঙ্গে হাতিগুলোকে ফলঝরা বিট কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
বর্তমানে এলাকায় বনকর্মীদের টহল চলছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ হাতির দলের কাছে না যায় বা উত্তেজিত করার চেষ্টা না করে।
