মানিকচক গ্রামের মধ্যে মদের দোকান খোলায় ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের

পুলিশের সামনেই ঝাঁটা হাতে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মহিলারা সোমবার। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হল মালদার মানিকচক ব্লকের ভূতনী থানার ডোমনটোলা এলাকায়। ঘটনায় বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ডোমনটোলা এলাকায় স্থানীয় নবীন মন্ডল নামে এক ব্যক্তি প্রথমে বাড়ি তৈরি করার নামে নির্মাণ কার্য করেন। এরপর সেখানে হার্ডওয়ারের দোকান খোলার নামে দোকান তৈরি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দোকান থেকে মদ বিক্রি করা হচ্ছে বলে তারা জানতে পারেন। কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। তাই এর, প্রতিবাদে তারা সোচ্চার হয়েছেন। ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাদের একটাই দাবি গ্রামের পাশে কোনমতেই মদের দোকান খুলতে দেবেন না।

অবিলম্বে মদের দোকান বন্ধ করতে হবে। কারণ যে স্থানে মদের দোকান খোলা হয়েছে তার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে দুর্গামন্ডপ রয়েছে। পাশে স্কুল আছে। তাই এখানে মদের দোকান খুললে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। মহিলারা বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাবেন। তাই তারা মদের দোকান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছেন। প্রশাসন মদের দোকান বন্ধ করতে কোন পদক্ষেপ না নিলে তারা আইন হাতে তুলে নিয়ে মদের দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত মহিলারা। গ্রামবাসীদের এই দাবীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য অঙ্গদ মন্ডলও। তবে যার বিরুদ্ধে গ্রামের পাশে মদের দোকান খোলার অভিযোগ সেই নবীন মন্ডলের দাবি, তিনি মদের দোকান নয়। রেস্টুরেন্ট কাম বার খোলার অনুমতি পেয়েছেন।

সেই অনুমতি নিয়েই রেস্টুরেন্ট কাম বার খুলেছেন। কিন্তু গ্রামের এক ব্যক্তি তার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষেপিয়ে তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদিকে,মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত এক  ছাত্র সহ একই পরিবারের চারজন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলত নগর এলাকায়।আক্রান্ত বাবলু মহলদারের স্ত্রী সুনিতা মহলদারের অভিযোগ, তার দেওর প্রকাশ মহলদার প্রতিদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে গালিগালাজ করে। এই ঘটনারই প্রতিবাদ করেছিল তার স্বামী। এরপরই প্রকাশ মহলদার এবং তার ছেলে সহ অন্যান্যরা হাসুয়া এবং চাকু নিয়ে তাদের মারধর করে। ঘটনায় তাদের পরিবারের চারজন আহত হয়। বর্তমানে তারা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।