ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খেতে পারেন কম ক্যালোরিযুক্ত এই ৫টি খাবার

আপনি ওজন কমাতে চান। কিন্তু অফিসে থাকাকালীন খিদে পেলে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া হয়েই যায়। নানা কারণবশত কর্মরতদের অনেকেই বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্রে খাবার বানিয়ে আনার সময় পান না। ফলে খিদে পেলেই কখনও নুডলস, কখনও ভাজাভুজি, আবার কখনও তেল-মশলাজাতীয় খাবার আনিয়ে খান। ফলে ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি মেপে আর খাওয়া হয় না। পরিস্থিতির চাপে যাঁরা বাইরের খাবার খেতে বাধ্য হন, তাঁদের ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য রইল পাঁচটি খাবারের সন্ধান। যার প্রত্যেকটি পেটও ভরাবে এবং তাতে ক্যালোরির মাত্রা থাকবে ১০০ কিলো ক্যালোরি বা তারও কম।

১। সেদ্ধ ডিম

একটি মাঝারি মাপের সেদ্ধ ডিমে ৫০ কিলো ক্যালোরি থাকে। একটি বড় মাপের সেদ্ধ ডিমে ক্যালোরি থাকে ৭২-৮০ কিলো। ডিম অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। সেইসঙ্গে পুষ্টিকরও। অফিসপাড়া চত্বরে একটু খুঁজলেই তা পাওয়া যাবে। প্রয়োজনমতো সকালে একটি বা দু’টি ডিম খেলে তা শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

২। ফলের চাট

কম ক্যালোরি যুক্ত ফল— যেমন তরমুজ, পেঁপে, আপেল, কমলালেবু, আমলকি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ফলের চাট খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ তরমুজে ৪৬ কিলো ক্যালোরি থাকে। এক কাপ পাকা পেঁপেতেও থাকে ৬০ ক্যালোরি। একটি মাঝারি মাপের আপেলে ১০০ কিলো ক্যালোরি থাকে। একটি মাঝারি মাপের কমলালেবুতে থাকে ৬০ কিলো ক্যালোরি। একটি আমলকিতে ৩০-৪৪ ক্যালোরি থাকতে পারে। সেই বুঝেই প্রয়োজনমত ফল বা নানারকম ফল মিলিয়ে মিশিয়ে এক থেকে দেড় কাপ ফলের চাট বানিয়ে খেতে পারেন।

৩। ইডলি

ইডলিও সহজলভ্য। এই দক্ষিণী খাবারে ক্যালোরির মাত্রাও থাকে স্বল্প। এক একটি সাধারণ মাপের ইডলিতে ৪০ কিলো ক্যালোরি থাকে। তাই একবারে দু’টি ইডলি খাওয়া যেতেই পারে। তারসাথে সামান্য সম্বর বা গ্রিন চাটনি খেলেও ক্যালোরির মাত্রা আয়ত্ত্বে থাকবে।

৪। ছোলা-মুগের চাট

সেদ্ধ করা কাবলি ছোলা এবং ভেজানো মুগের সঙ্গে শসা, টম্যাটো, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে তৈরি স্যালাড শরীরের জন্য যেমন ভালো, তেমনই তার ক্যালোরির মাত্রাও কম। অফিসপাড়ার আশেপাশে এই ধরনের স্যালাড বা চাটের সন্ধান পেলে, সেই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

৫। সুইট কর্ন চাট

ভুট্টার দানা সেদ্ধ করে, তার সঙ্গে সামান্য পেঁয়াজ, লঙ্কা, টম্যাটো, লেবু এবং সামান্য মশলা দিয়ে মেখে বানানো হয় সুইট কর্ন চাট। অনেকে এতে মাখনও ব্যবহার করেন, তবে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে তা বাদ দিতে হবে। মাখন ছাড়াও কর্ন চাটের স্বাদ মন্দ হয় না। ক্যালোরির চিন্তা ছাড়াই বর্ষার দিনে উপভোগ করতে পারেন গরম গরম সুইট কর্ন চাট।