পরিবর্তিত পরিবেশ কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যই নয় ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে, ফলে প্রতিদিনই প্রায় সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা এবং ত্বকের ঝুলে পড়ার মতন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ত্বকের এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, কারণ এইরকম স্বাস্থ্য-ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াই করা অনেকের জন্য এটি জটিলও হতে পারে। তাই ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটোলজিস্ট ডঃ গীতিকা মিত্তল খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ত্বকের যত্ন এবং অ্যান্টি-অ্যাজিং রোধ করে এমন সব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে অকাল বার্ধক্য রোধ এবং তারুণ্য ধরে রাখা যায়। তিনি আমাদের প্রতিদিনের খাবারে পাঁচটি পুষ্টিকর খাবার যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথমটি হল অ্যালমন্ড, যা ত্বককে সুস্থ এবং উজ্জ্বল রাখার একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। অ্যালমন্ড প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করা অপরিহার্য। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন ই এর মতো পুষ্টি, এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বার্ধক্য রোধ করতেও ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এমনকি, তিনি অ্যালমন্ডকে ভাজা করে প্রতিদিনের স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।তেমনই স্যামন মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে হাইড্রেটেড এবং নরম রাখার সাথে ত্বককে প্রশমিত করে এবং অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া মাছটি কোলাজেন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
একইভাবে, মিষ্টি আলুও ত্বকের সুস্থতার জন্য একটি উপকারী খাবার। এতে আছে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ এবং সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বক মেরামত করে বার্ধক্য রোধ করে। মিষ্টি আলু একটি ত্বক-বান্ধব খাবার, যা অনায়াসে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করে যায়। সাইট্রাস ফল, আমাদের ত্বকের উজ্বলতা ফিরিয়ে আনে, এর উপকারিতা প্রচুর। সাইট্রাস ফলের তালিকার রয়েছে কমলালেবু এবং বেরির ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলগুলি। তিনি জানান যে বয়সের সাথে সাথে আমাদের কোলাজেনের মাত্রা হ্রাস পায়, তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ফলগুলি যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দইও একটি বিশুদ্ধ উপাদান। এটি ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন B2, B6 এবং B12। দই মৃত কোষগুলিকে অপসারণ করে সতেজ চেহারা প্রদান করে।