বড়ো ঘোষণা ব্রিটেনে

1 min read

বেশ কিছুটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ব্রিটেনে৷ ক্রমেই নিম্নমুখী সংক্রমণের গ্রাফ৷ কমছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা৷ করোনা স্ফীতির শিখর পেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে ব্রিটেন৷ আর কটা দিন৷ তার পরেই মুক্তি৷ করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ব্রিটেন৷ গত মাসে যে বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছিল, আগামী সপ্তাহেই তা বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সে দেশে আর বাধ্যতামূলক নয় মাস্ক৷ বন্ধ হবে ওয়ার্ক ফ্রম হোমও৷ অফিসে এসেই করতে হবে অফিসের কাজ৷ বুধবার এ কথা ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘প্ল্যান বি’ (করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ)-র মেয়াদ৷ দেশে করোনা সংক্রমণ একেবারে নিম্নমুখী৷ এই পরিস্থিতিতে প্ল্যান বি’র মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও কারণই নেই৷ আগামী সপ্তাহ থেকেই ‘প্ল্যান এ’ (স্বাভাবিক জীবনযাত্রা)-তে ফিরবে ব্রিটেন৷ এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক থাকছে না ইংলন্ডে৷ এত দিন বড় কোনও জমায়েতে যাওয়ার জন্য টিকার দুটি সংশাপত্রের প্রয়োজন হত৷ এবার থেকে তারও আর প্রয়োজন হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ অফিসে গিয়েই কাজ করবেন কর্মীরা৷ ওমিক্রনের দাপট একটু কমতেই সমস্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে দিল ব্রিটেন৷ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে, সামাজির দূরত্বের যন্ত্রণা থেকে এবার মুক্তি পাবে ব্রিটেনবাসী৷ জমায়েত বা বার-রেস্তরাঁ কিংবা নাইট ক্লাবে যেতে হলেও আর কোভিড পাসের প্রয়োজন হবে না৷  

তবে মাস্ক পরা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বক্তব্য, বড় কোনও জমায়েত, বদ্ধ জায়গায় বেশিক্ষণ থাকা কিংবা বহু অচেনা মানুষের সংস্পর্শে এলে মাস্ক পরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু করোনার সংক্রমণ এখন অনেকটাই কম৷ তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ইংরেজদের বিবেচনাবোধের উপরই ছাড়া হচ্ছে৷ মাস্ক পরা নিয়ে সরকারি কোনও বিধিনিষেধ আর থাকছে না। তবে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হলে বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে৷ এই বিষয়ে সরকারি নীতির মেয়াদ থাকবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। 

You May Also Like