গোটা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের নয়া ভাইরাস ওমিক্রন। এরই মাঝে সারা দেশ ভুগছে ওমিক্রন ঝড়ে৷ কিন্তু কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন কোনও ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা৷ করোনা স্ফীতির মধ্যে উপসর্গ নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কাশি হলে থামতেই চাইছে না। কখনও দেখা যাচ্ছে দু’দিনের জ্বরের পর আর কোনও উপসর্গ নেই। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ সম্পূর্ণটাই আলাদা৷ তা নিয়ে বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কখন সতর্ক থাকতে হবে৷ বুঝেই উঠতে পারছেন না কেউ। সর্দি-কাশি হলেই কি তা করোনার লক্ষণ? নাকি জ্বর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ এহেন নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে৷
এই ধোঁয়াশা দূর করতে জেনে নিন ওমিক্রনের ১৪টি লক্ষণ। ব্রিটেনের একদল গবেষক এই বিষয়ে গবেষণের পর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন৷ তাঁদের গবেষণার উঠে এসেছে ওমিক্রন আক্রান্তদের সমস্যাগুলি৷ একটি বিজ্ঞান জার্নালে তা প্রকাশ করা হয়েছে৷ দেখে নিন সেগুলি কী কী- ১) ওমিক্রন আক্রান্তদের ৭৩ শতাংশ মানুষেরই নাক দিয়ে জল পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷
২) ৬৮ শতাংশ মানুষ ভুগছে মাথা যন্ত্রনায়৷
৩) ক্লান্তি গ্রাস করে রেখেছে প্রায় ৬৪ শতাংশ রোগীকে৷
৪) ৬০ শতাংশ রোগীর হাঁচি হচ্ছে৷
৫) ওমিক্রনে আক্রান্তদের গলা ব্যথাও হচ্ছে৷ ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷
৬) ৪৪ শতাংশ আক্রান্তের অত্যন্ত কাশি হচ্ছে৷
৭) ৩৬ শতাংশ রোগীর গলা ভেঙে যাচ্ছে৷
৮) ৩০ শতাংশ রোগীর মধ্যে কাঁপুনির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷
৯) ২৯ শতাংশ মানুষের জ্বার আসছে৷
১০) ওমিক্রনে মাথা ঝিমঝিম করছে৷ ২৮ শতাংশের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে৷
১১) মস্তিষ্কে ধোঁয়াশার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে ২৪ শতাংশের মধ্যে৷
১২) ২৩ শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তের পেশীতে ব্যথা, টান ধরছে৷
১৩) তবে গন্ধের অনুভূতি বিশেষ হারাচ্ছে না৷ এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৯ শতাংশ রোগীর মধ্যে৷
১৪) বুকে ব্যথা রয়েছে ১৯ শতাংশ রোগীর মধ্যে৷