বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ শেষের পথে যখন মনে হয়েছিল ঠিক তখনই বিশ্বজুড়ে আছড়ে পড়ে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের ঢেউ। মাস দুয়েক দাপট দেখানোর পর এর থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু আবার নতুন প্রজাতি হানা দেবে বলে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেক আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছে যে ওমিক্রন শেষ করোনা প্রজাতি নয়, আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে নয়া ভ্যারিয়েন্টে। কারণ নতুন প্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক হতে চলেছে। কিন্তু তার থেকে বাঁচার উপায় পাওয়া যাবে কী ভাবে? সেই উত্তর দিল তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনের পর আরও করোনা প্রজাতি আসতে পারে যা নিয়ে চিন্তা থাকছে। সেটাই আবার ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ হতে পারে। এটির সংক্রমণের হার ওমিক্রনের চেয়ে বেশি হবে। কিন্তু তা আদতে কতটা বিপজ্জনক হবে তা এখন থেকে বলা কঠিন। ওমিক্রন ব্যাপক সংক্রামক হলেও তাতে মৃত্যু হার কম। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে টিকাকরণ বড় কাজ করেছে মৃত্যু আটকাতে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছে না পুরোপুরি। কারণ ইতিমধ্যেই বহু দেশে বিরাটভাবে বেড়েছে সংক্রমণ এবং মৃত্যুও। তাই করোনার পরবর্তী প্রজাতি নিয়ে এখন থেকে ভাবনার সময় হয়েছে বলে বারংবার জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে নয়া ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ঠিক কি পদক্ষেপ নিলে তা সুবিধা দেবে, সেটাও জানান হয়েছে তাদের তরফে। বলা হচ্ছে, প্রথমত, টিকাকরণের ওপর জোর দিতে হবে সকলকে। অন্যদিকে, ভাইরাসটিকে বিপুল পরিমাণে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকাতে হবে। তাতেই এই প্রজাতিকে ভয়ঙ্কর হওয়া থেকে আটকাতে পারা যাবে।
যদিও বাজারে আপাতত যে টিকাগুলি রয়েছে সেগুলি পরবর্তী প্রজাতির বিরুদ্ধে কতটা কাজ করতে পারবে তা নিয়েও কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এও দাবি করা হয়েছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে করোনার আসন্ন রূপগুলি আরও সহজে টিকাকে ধোকা দিতে সক্ষম হবে। ফলে এখনই অতিমারি শেষ হয়ে যাবে, তেমন কোনও আশা তাঁরা দেখছেন না। তবে আশা, টিকা এড়িয়ে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারলেও টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রোগের প্রকোপ অনেকটাই কম হবে৷