সুনামির মতো করে দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। সারা ভারতবর্ষের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার সংক্রমণ ঘটছে। স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক নানান কাজের জন্য সরকার ৫০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা প্রচন্ডভাবে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বক্তব্য যে এই করোনা সংক্রমণ হওয়ায় তাদের জন্য কোয়ারেন্টাইন লিভের কোনও ব্যবস্থা নেই। আর তার জন্য বাড়ছে ক্ষোভ।
তাদের বক্তব্য, সরকারি কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন লিভের সুযোগ দিতে সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য এমন কোনও ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে এই কোয়ারেন্টাইন লিভ চালুর দাবিতে আজ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (এসটিইএ)-র পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র ও সভাপতি গৌতম মহান্তি চিঠি পাঠান শিক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে। সমিতির দাবি, ইতিমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের সংক্রমণ ঘটলে ছুটি পাওয়া যাবে বলে যে নির্দেশিকা বেরিয়েছে, তেমনই শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী যদি আক্রান্ত হন তাদের জন্যও কোয়ারেন্টাইন লিভের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের আরও দাবি, বছরে ১৫ দিন মেডিক্যাল লিভের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এদিকে আবার দুপুর থেকে সল্টলেকে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনের সামনে চলছে আন্দোলন। ‘অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক৷ না হলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক’, এই দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা৷ সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেও দাবি করা হয়েছে। আট বছর পেরিয়ে গিয়েছে৷ অথচ এখনও নিয়োগ পাননি তাঁরা৷ প্রতিবাদে আন্দোলনের পথে নেমেছে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।